বাগমারায় ঝুঁকিপূর্ণ মাঠে চলছে গ্রীষ্মকালীন প্রতিযোগীতা

হাট গাঙ্গোপাড়া প্রতিনিধি:

স্কুল-মাদ্রাসার ৪৮ তম গ্রীস্মকালীন জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগীতার বাগমারা ”ঘ” অঞ্চলের ভেন্যু ফুটবল মাঠ হিসাবে নির্বাচিত থানার নরদাশ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ। ময়লা আবর্জনা, ইটের টুকরা, কাদা পানিও ছোট ছোট অসংখ্য খানা-খন্দে ভরপুর স্কুল মাঠটি। এমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় এই মাঠে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফুটবল খেলানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে এলাকার সাধারন মানুষ, ও ক্রীড়া প্রেমীদের পক্ষ থেকে।

তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। শুক্রবার খেলা শুরুর ১০মিনিট আগে তোলা ছবিতে তা ধরা পড়ে।

মাঠের দায়িত্ব প্রাপ্ত রেফারী আব্দুল হাকিমকে জানানো হলে তিনি বলেন বিষয় গুলো দু:খ জনক হলেও সত্য। যতবার আমরা গর্ত গুলো ভরাট করি ততবার দোকানীরা এসে গর্তকরে খুটি গেড়ে আখ এবং গাছের চারা বিক্রি করার জন্য দোকান সাজায়। মাঠের সমম্বয়ক ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক চীমান আলীকে জানালেও তিনি তেমন কোন গুরুত্ব দেননি।

এ বিষয়ে নরদাশ বয়েজ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও ক্রীড়া সম্পাদক, পানিয়া নরদাশ ডিগ্রী কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আব্দুস সালাম, বাংলা বিভাগের প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম, পোষ্ট মাষ্টার নাজমুল হোসেনের সাথে কথা বললে তারা জানিয়েছেন, নরদাশ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক  চীমান আলীর উদাসিন ও দায়ীত্বজ্ঞানহীন কর্মকান্ডের জন্য আজ এই মাঠের এমন দুরাবস্থা।

তারা আরো বলেন, এই মাঠে গরুর হাট থেকে প্রতি বছর প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় হয় কিন্তু সেখান থেকে একটি টাকাও এই মাঠের সংস্কার কাজের জন্য ব্যয় করা হয়না বলে তারা অভিযোগ করেন। মাঠে ফুটবলের নিয়ম মেনে ডিবক্স, গোল লাইনও সাইড লাইনের তেমন কোন দাগ কাটা হয়নি, পানি নিস্কাষনের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি । ফলে সামান্য বৃষ্ঠিতেই এই মাঠটি একটি ডোবায় পরিনত হয়ে যায়।

এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অতিসত্তর এই মাঠের সংস্কার দাবী করেছেন তারা।