বাগমারায় জালিয়াতি করে কৃতির স্বীকৃতি, শিক্ষকদের ক্ষোভ


বাগমারা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাগমারায় সালেহা-ইমারত ফাউন্ডেশনের কৃতি শিক্ষার্থী ও সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংবর্ধনায় জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচনেও প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। উপজেলা সদরের ভবানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজ জালিয়াতির মাধ্যমে সেরার সম্মাননা নিয়েছে। তবে অধ্যক্ষের দাবি অফিস সহকারী এই অনিয়ম করেছেন।

জানা যায়, সালেহা-ইমারত ফাউন্ডেশন ২০০৬ সাল থেকে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়ে আসছে। সে ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার গত ২০২০ সালের কৃতি শিক্ষার্থী ও সেরা প্রতিষ্ঠানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেট মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে গত ২০২০ সালের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের কৃতি শিক্ষার্থীদের (জিপিএ-৫) এবং সেরা প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে ৮৯০জন কৃতি শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক, শিক্ষকসহ স্থানীয় সূধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পাওয়া সেরা কলেজ হিসাবে ভবানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজকে নির্বাচিত করে সম্মাননা ছাড়াও ১০ হাজার টাকা পুরষ্কার দেওয়া হয় আয়োজকদের পক্ষে। কলেজের অধ্যক্ষ এরশাদ আলী পুরষ্কার গ্রহণ করেন। এই প্রতিষ্ঠানে মোট ৮৬জন জিপিএ-৫ পেয়েছে বলে তথ্য দেওয়া হয় আয়োজকদের। সালেহা-ইমরাত ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত কৃতিদের ছবি ও পরিচয়ের তালিকাতে ছয়জনের ছবি অতিরিক্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। তারা গত ২০২০ সালে জিপিএ-৫ পাননি অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তবে শিক্ষাবোর্ডের নথি ঘেঁটে ও স্থানীয় ভাবে জানা যায়, ভবানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের কৃতি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০জন। অপর দিকে ভবানীগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৫। সরকারি হিসাব মোতাবেক ভবানীগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছে। কলেজটি সেরার তালিকায় থাকার কথা থাকলে কৃতির সংখ্যা বাড়িয়ে মহিলা ডিগ্রি কলেজকে সেরার তালিকায় রাখা হয়। তবে জালিয়াতি করে সেরার পুরস্কার নেওয়াতে স্থানীয় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রবীণ কলেজশিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে জালিয়াতি করে পুরস্কার নেওয়াতে তাদের মান ক্ষুন্ন হয়েছে। কাজটি করা ঠিক হয়নি।
ভবানীগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অথ্যক্ষ হাতেম আলী বলেন, সেরার স্বীকৃতি না পাওয়া তাঁদের জন্য লজ্জার। তবে এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ বা ক্ষোভ নেই বলে মন্তব্য করেন।

জালিয়াতি করে সেরার পুরষ্কার নেওয়া প্রসঙ্গে ভবানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এরশাদ আলী বলেন, এটি তার কলেজের অফিস সহকারী করেছে। তবে কাজটি করা হয়নি বলে স্বীকার করেন। জানার পরেও কেন সেরার পুরষ্কার কেন নিলেন এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি।

এএইচ/এস