বাগমারায় এক মেধাবীকে ছাত্রকে মেডিকেল পড়তে সহায়তা প্রদান

বাগমারা প্রতিনিধি

রাজশাহীর বাগমারায় অসহায় এক বেসকারী কলেজের অধ্যক্ষের ছেলে সরকার সুদিপ্ত শাহীন এবারে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। শত বাধা আর দারিদ্রকে হার মানিয়ে মেডিকেলে পড়ার সুযোগকে এলাকাবাসীর মধ্যে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সরকার পরিবারে ওই ছেলে। তবে অসচ্ছল জীবন যাপনে পরিবার ভর্তিসহ মেডিকেল কলেজ পড়ার খরচ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারপরও অদম্য ইচ্ছে ডাক্তার হয়ে আর্ত মানবতার সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করবার।

জানা যায়, সরকার সুদিপ্ত শাহীন উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত বলিদ সরকারে নাতি। তার বাবা গ্রামের সংলগ্ন দ্বীপনগর কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ সরকার। স্থানীয়দের ষড়যন্ত্রে শিকার হয়ে দীর্র্ঘ চার বছর ধরে রয়েছেন সাময়িক ভাবে বরখাস্থের বেড়াজালে রয়েছেন। তিনি চাকুরীর চিন্তায় দুরারোগ্য রোগ প্যারালাইড হয়ে শরীরের ডান অংশ অবস হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বাবার চিকিৎসায় সহায় সম্পত্তি বিক্রয় করে বর্তমানে অসহায় হয়ে পড়েছেন পরিবারটি। এতো কষ্টের পরেও থেমে যায়নি সুদিপ্ত শাহীন। কষ্ট আর ব্যাথা বেদনাকে সঙ্গী করে মনের জোরে এগিয়ে চলে তার শিক্ষা জীবন। এইচএসসি পাশের পর সুযোগ হলো দিনাজপুরের এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে লেখাপড়ার। তবে এমবিবিএস পরীক্ষায় সাফল্যের দেখা পেলেও বাধসেজেছে আর্থিক অনটন। মেডিকেলে পড়ালেখার সুযোগ পেলেও অর্থের অভাবে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তার।

অবশেষে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষে নিয়ে আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করে সরকার সুদিপ্ত শাহীন। সুদিপ্তের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সুদিপ্তে মেডিকেলে ভর্তির ব্যাপারে খোঁজ কবর নেন। পরে তার খরচ হিসেবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ ২২ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন।

ভর্তির অর্থ পেয়ে সরকার সুদিপ্ত শাহীন বলেন, আমার মেডিকেল কলেজে লেখাপড়ার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই আমার বাবার চাকুরী ফিরে পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বিনীত ভাবে আবেদন করেন তিনি।

সুদিপ্ত জানান, তাদের পরিবার এক সময় বেশ সচ্ছল ছিল। দাদা মারা যাবার পর বাবার চাকুরীর বরখাস্ত ও অসুস্থতায় সংসারের দুর্দশা দেখা দিয়েছে। বাবা চাকরী ফিরে পেলেই তার মেডিকেলে লেখাপড়া সুন্দর ভাবে শেষ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

স/অ