বাকস্বাধীনতায় গুরুত্ব দিয়ে আট রাষ্ট্রদূতের টুইট

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাত জন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতার ওপর জোর দিয়ে টুইট করেছেন। এছাড়া, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের (আইসিটি) অধীনে বাংলাদেশে নতুন গ্রেফতারের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর প্রিন্সিপ্যিাল ডেপুটি অ্যাসিস্যান্ট সেক্রেটারি।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর প্রিন্সিপ্যিাল ডেপুটি অ্যাসিস্যান্ট সেক্রেটারি এলিস ওয়েলস এক টুইট বার্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশের মানুষ যেন স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানান।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, ইইউ’র রাষ্ট্রদূত রেনসে তেরিঙ্ক, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভেরওয়েজ, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত রবার্ট ডিকসন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোট স্লাইটার ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসন বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন টুইট করেন।

আর্ল মিলার এই টুইটে লিখেছেন, সঠিকভাবে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় মুক্ত ও স্বাধীন মিডিয়া নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য পরিবেশন করতে পারে, সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখা এবং সাংবাদিকদের ঠিকমতো কাজ করতে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

রেনসে তেরিঙ্ক তার টুইট বার্তায় বলেন, এই সমস্যাসংকুল সময়ে বাকস্বাধীনতা অন্য যেকোনও সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ফেক নিউজ একটি বড় ধরনের সমস্যা হলেও সাংবাদিকদের স্বাধীন ও মুক্তভাবে তাদের কাজ করতে দিতে হবে।

একই মত পোষণ করে রবার্ট ডিকসন লিখেছেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য নির্ভরযোগ্য ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রয়োজন।

সিডসেল ব্লেকেন, শার্লোট স্লাইটার ও উইনি এসট্রাপ পিটারসন একই ধরনের মন্তব্য করে টুইট করেছেন। সূত্র: দেশ রুপান্তর