বাইরের চেয়ে ঘরের ভেতরের বাতাস বেশি দূষিত!

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বায়ুদূষণ একটি অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েকদিন ধরেই ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে আলোচনা চলছে। এবার গবেষকরা সেখানকার বায়ুদূষণ পরিস্থিতি নিয়ে শোনালেন ভয়াবহ তথ্য। জানালেন দিল্লিতে ঘরের ভেতরে বায়ুদূষণের পরিমাণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে।  এমনকি দিল্লির ঘরের ভেতরের দূষণের পরিমান বাইরের চেয়ে অনেক গুণ বেশি।

বিবিসি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকারণ বাতাসের ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫ ঘরের ভেতরে বাইরের তুলনায় ‘উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি’।

এসবের পরও দিল্লির বেশিরভাগ বাড়ির বাসিন্দারাই এ ব্যাপারে কোনো সুরক্ষাসংক্রান্ত পদক্ষেপ নিতে নারাজ বলে জানা গেছে।

দিল্লি কয়েকবছর ধরে নিয়মিতভাবেই ‘বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়’ প্রথমদিকে রয়েছে।

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট (ইপিআইসি) ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দিল্লির বিভিন্ন আর্থ-সামজিক অবস্থানে থাকা পরিবারগুলোর ওপর এই গবেষণা চালায়। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর দূষণের প্রভাব সমান।

তবে উচ্চবিত্ত পরিবারগুলোতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করার পরিমান নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর চেয়ে ১৩ গুণ বেশি। কিন্তু এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করার পরও দূষণের মাত্রা নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর তুলনায় মাত্র ১০ শতাংশ কম বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে প্রধান গবেষক ড. কেনেথ লি জানান, দিল্লির বায়ুদূষণের মোদ্দা কথা হলো- ধনী হোক কিংবা গরিব— কেউ বিশুদ্ধ বায়ুতে নিঃশ্বাস নিতে পারে না। এটা দুষ্টচক্রের মতো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে- প্রতিবছর বিশ্বের ৭০ লাখ মানুষ বায়ুদূষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মারা যায়, যা ধূমপান এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে অকাল মৃত্যুর সমান।

 

সুত্রঃ যুগান্তর