বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে যে কারণে চোখ রাখবেন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

চলমান বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচটির গুরুত্ব আপাত দৃষ্টিতে বেশ কম।

ইংল্যান্ডের বিখ্যাত লর্ডসে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচটি।

এই ম্যাচে পাকিস্তান এখনো সুযোগ খুজঁতে পারে সেমিফাইনালে পা রাখার।

পাকিস্তানের জন্য কী সেই সমীকরণ?

সমীকরণ হলো এই: পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে যেতে হলে নিউজিল্যান্ডের রান রেট টপকাতে হবে।

৯ ম্যাচ খেলে নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ১১, নেট রান রেট, .১৭৫।

৮ ম্যাচ খেলে পাকিস্তানের পয়েন্ট ৯, নেট রান রেট, -.৭৯২।

নিউজিল্যান্ডের জয় ৫টি, পাকিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেলে পাকিস্তানেরও পাচঁটি জয় হবে।

অর্থাৎ পাকিস্তান বাংলাদেশের সাথে জিততে পারলে পাকিস্তানের পয়েন্ট ও ম্যাচে জয়ের সংখ্যাও নিউজিল্যান্ডের সমান হবে। কিন্তু রান রেটের ক্ষেত্রে কী করতে হবে?

পাকিস্তান যদি আগে ব্যাট করে…..

পাকিস্তান যদি শুরুতে ব্যাট করে তাহলে যদি ও কিন্তুর সমীকরণটা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

পাকিস্তান যদি ৩৫০ রান তোলে, তাহলে ৩১১ রানে জিততে হবে।

পাকিস্তান যদি ৪০০ রান তোলে, তাহলে ৩১৬ রানে জিততে হবে।

পাকিস্তান যদি ৪৫০ রান তোলে, তাহলে ৩২১ রানে জিততে হবে।

পাকিস্তান যদি আগে বল করে…..

পাকিস্তান যদি আগে বোলিং করে সেক্ষেত্রে কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না পাকিস্তানের।

কারণ রান তাড়া করে নিউজিল্যান্ডের নেট রান রেট ছোঁয়া অসম্ভব।

জিতলে বাংলাদেশ থাকবে পাচঁ নম্বরে…

২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, এর আগে ২০০৭ সালে সুপার এইটে উত্তীর্ণ হয়েছিল বাংলাদেশ।

কিন্তু পয়েন্ট তালিকায় বাংলাদেশ যদি এবার পাচঁ নম্বরে থাকতে পারে তাহলে সেটা হবে সবচেয়ে বড় অর্জন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ইতিহাসে।

২০০৭ বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচে জয় পায় বাংলাদেশ।

২০১১ ও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও তিনটি করে ম্যাচে জিতেছিল বাংলাদেশ।

২০১৯ বিশ্বকাপেও এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ৩টি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

এখন পাকিস্তানের সাথে শেষ ম্যাচে জিততে পারলে এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জয় হবে চারটি ম্যাচে।

মাশরাফী বিন মোত্তর্জার শেষ ম্যাচ?

এখনও পর্যন্ত যে খবর পাওয়া যাচ্ছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এখনই অবসরে যাচ্ছেন না।

টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনও সেই আভাস দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে মাশরাফীর নেতৃত্বে, ও দারুণভাবে লিড করে, এটা ওর সিদ্ধান্ত, ওর থেকে ভালো এটা কেউ জানে না।”

তিনি বলেন, “যতদিন ফিট আছে ততদিন খেলা উচিৎ।”

তবে মাশরাফী কী আদৌ ফিট?

খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, “পায়ের যে অবস্থা তাতে অন্য কেউ হয়তো খেলতো না, মানসিকভাবে মাশরাফী খুব শক্তিশালী, সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চায়, যতটুকু দেয়ার কথা ততটুকু দেয়ার চেষ্টা করছে।”

তার মতে, “প্রতিটা ক্রিকেটারের অধিকার আছে তিনি কবে খেলা ছাড়বেন সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার।”