বাংলাদেশের সামনে ৩৪২ রানের পাহাড়

সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক:

আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে ওয়ানডে সিরিজের উইকেট হতে পারে ব্যাটিং-সহায়ক। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা যে এতটা দাপট দেখাবেন, সেটা অনুমান করা কঠিনই ছিল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে শুরুতে বোলিং করে ভালোই নাকাল হতে হয়েছে বাংলাদেশের বোলারদের। টম লাথাম ও কলিন মুনরোর দুর্দান্ত ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ৩৪১ রানের পাহাড়।

 

টস হেরে বল করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ভালোই হয়েছিল। ইনজুরির বাধা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে উইকেটের দেখা পেতে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি মুস্তাফিজুর রহমানকে। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই দারুণ এক স্লোয়ার ডেলিভারিতে ফিরিয়েছিলেন কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিলকে। বড় ইনিংস খেলতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন (৩১), নেইল ব্রুম (২২) ও জেমস নিশাম (১২)। ২৯ ওভার শেষে এই চার উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ১৫৮ রান। ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের হাতে।

 

কিন্তু পঞ্চম উইকেটে ১৫৮ রানের ঝড়ো জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ান লাথাম ও মুনরো। ৪৭তম ওভারে সাকিব যখন এই জুটি ভেঙেছেন, ততক্ষণে নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে জমা হয়ে গেছে ৩১৬ রান। ৬১ বলে ৮৭ রানের ঝড়ো ইনিংস এসেছে মুনরোর ব্যাট থেকে। লাথাম পূর্ণ করেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক। ৪৮তম ওভারে মুস্তাফিজের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে তিনি খেলেছেন ১২১ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস। এটিই তাঁর নতুন ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস। শেষপর্যায়ে মিচেল সান্টনারের ৮ ও টিম সাউদির ৭ রানে ভর করে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩৪১ রান।

 

ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরে পুরো ১০ ওভারই বোলিং করেছেন মুস্তাফিজ। লাথাম-মুনরোর তাণ্ডবে সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই বাঁহাতি পেসারই। ১০ ওভার বল করে মুস্তাফিজ দিয়েছেন ৬২ রান। নিয়েছেন দুটি উইকেট। বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার অবশ্য সাকিব আল হাসান। ১০ ওভার বল করে ৬৯ রান খরচে সাকিব নিয়েছেন তিনটি উইকেট। দুটি উইকেট গেছে তাসকিন আহমেদের ঝুলিতে।

সূত্র: এনটিভি