‘বাংলাদেশের নেট রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি নিয়ে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রথম পাতার খবর, ‘Net reserves now below $18b Zahid Hussain estimates’ অর্থাৎ ‘দেশের নেট রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে। একথা বলেছেন বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। গতকাল ঢাকায় এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন ড. হোসেন।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রয়্যালটি ও সুদ ছাড়া বাংলাদেশের নেট বা প্রকৃত বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পরিমাণ বর্তমানে ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে।

ড. হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকাকে বলেছেন, ‘এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) পেমেন্ট, কোটার আওতায় আইএমএফকে প্রদেয় প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার এবং এবং অন্যান্য কিছু পেয়েবল মিলিয়ে যে পরিমাণ অর্থ সম্ভাব্য দায় রয়েছে, তা বাদ দিলে নেট রিজার্ভ এর পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন ডলার হয়।’

বুধবার ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলনে তিনি বলেন ‘প্রতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংককে ১০০ কোটি ডলারের বেশি বিক্রি করতে হচ্ছে। এটা যদি চলতে থাকে, তাহলে এক জায়গায় গিয়ে রিজার্ভ ফুরিয়ে যাবে। তখন এলার্মিং পর্যায় আসবে।‘

এত কম রিজার্ভ হলে মুদ্রা বিনিময় হারকে যেভাবে এখন চেপে রাখা হয়েছে তখন আর নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘রিজার্ভ কমছেই, পতন ঠেকানো যাচ্ছে না’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হলেও বাংলাদেশে সেটার পতন ঠেকানো যাচ্ছে না।

আমদানি নিয়ন্ত্রণ সহ নানা চেষ্টার পরও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ প্রতিনিয়ত কমছে। সবশেষ ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে মোট রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সেই রিজার্ভ এখন কমে হয়েছে ২৬.৭৪ বিলিয়ন ডলার।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ এর হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বর্তমানে ২০.৯০ বিলিয়ন ডলার। গত দুই বছরে প্রতি মাসেই ১০০ কোটি বা এক বিলিয়ন ডলার করে কমছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখন যে প্রকৃত রিজার্ভ আছে সেটা দিয়ে তিন মাসের আমদানি খরচ মিটানো যাবে, অন্য কোন খরচ নয়। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়, সেই হিসেবে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে।

আইএমএফ এর মিশন নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘IMF Staff Mission: Concern raised over inflation, reserves, bad loans’ অর্থাৎ আইএমএফ স্টাফ মিশন: মুদ্রাস্ফীতি, রিজার্ভ, খারাপ ঋণ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ এর স্টাফ মিশন বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে তাদের বৈঠকে চারটি সমস্যার কথা উত্থাপন করেছেন। সেগুলো হল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, মুদ্রাস্ফীতি, ব্যাংকিং খাত এবং রাজস্ব সংগ্রহ।

বিশ্বের অনেক দেশ তাদের মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে সক্ষম হলেও বৈঠকে, আইএমএফ টিম বাংলাদেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণ জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূল্যস্ফীতি গড়ে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

সরকার উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য মুদ্রার অবমূল্যায়ন, আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের উচ্চ মূল্যকে দায়ী করেছেন। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বাজারভিত্তিক সুদের হার চালু করেছে এবং জুলাই মাসে নীতিগত হার বাড়িয়েছে।

আইএমএফ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ন্যূনতম রাখতে না পারার কারণগুলো জানতে চেয়েছে, ঋণের দ্বিতীয় ধাপের অনুমোদন পাওয়ার জন্য একটি বাধ্যতামূলক প্রয়োজন। এছাড়া আইএমএফ বাংলাদেশের খেলাপি ঋণের উচ্চ হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছ।

খেলাপি ঋণ নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ ব্যাংকের’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের কোন কোন ব্যাংকে খেলাপি ঋণের হার ৮৭ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁচেছে। অর্থাৎ ১০০ টাকার মধ্যে ৮৭ টাকাই খেলাপি হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, জুন প্রান্তিকে ৬১টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে ৩৬টিরই খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে সরকারি ব্যাংকগুলোর অবস্থা বেশি নাজুক। একসাথে এতো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি এর আগে কখনো হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ আমানতকারীদের নিরাপত্তার জন্য নির্ধারিত হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। আর এ প্রভিশন ঘাটতির কারণে ব্যাংকগুলোর মূলধন কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মনে করছে খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের নিচে থাকতে হবে। তাই ৫ শতাংশের বেশি খেলাপি ঋণ হলে তা কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বছরের পর বছর কিছু ব্যাংকের খেলাপি ঋণ গড়ে ২০ শতাংশের ওপরে থাকছে।

দেশে ব্যাংকিং খাতের দিকে তাকালে দেখা যায়, বড় কিছু গ্রাহক ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ফেরত দিচ্ছেন না। এতে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘বিওপির হদিসবিহীন লেনদেনের তথ্যে পুঁজি পাচারের প্রতিফলন’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে এক বছরের ব্যবধানে বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের (ব্যালান্স অব পেমেন্ট বা বিওপি) ঘাটতি ৩৯ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।

দেশে ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের ঘাটতি ছিল ৬৬৫ কোটি ডলারের বেশি। গত অর্থবছর ২০২২-২৩ এর শেষে তা ৮২২ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। এ ঘাটতি হিসাবের সময় ভুলভাবে উপস্থাপিত, একপাক্ষিক বা বাদ পড়া লেনদেনের (নিট এররস অ্যান্ড ওমিশনস বা এনইও) তথ্য সমন্বয় করতে হয়েছে ৩২২ কোটি ডলারের (ঋণাত্মক), যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের মোট বিওপি ঘাটতির ৩৯ শতাংশেরও বেশি।

অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকারদের ভাষ্যমতে, বৈদেশিক লেনদেনের আন্তঃ ও বহিঃপ্রবাহের হিসাবের সঙ্গে প্রকৃত ব্যালান্সের যে পার্থক্য পাওয়া যায়, সেটিকেই নিট এররস অ্যান্ড ওমিশনস হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। দীর্ঘ সময় এনইও ঋণাত্মক অংকে থাকা মানে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে সম্পদ বের হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও নিট এররস অ্যান্ড ওমিশনসের অংকটি দীর্ঘদিন ধরেই ঋণাত্মক পর্যায়ে অবস্থান করছে। মোট বিওপিতে এর অংশটিও অনেক বড়। সে হিসেবে বলা চলে দেশে বিওপি ঘাটতির বড় একটি অংশজুড়ে রয়েছে ভুল বা বাদ পড়া লেনদেনের অংক, যার বড় একটি অংশের কোনো হদিস কারো কাছে নেই।

ভুল বা বাদ পড়ে যাওয়ার এ পরিসংখ্যানকে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার বেড়ে যাওয়ার প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। একই কথা উঠে এসেছে বিশ্বব্যাংকের এক পর্যবেক্ষণেও।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সব দেশেই বিওপি হিসাব করতে গিয়ে কিছু মাত্রায় নিট এররস অ্যান্ড ওমিশনস দেখা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ হার গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। আবার তা দীর্ঘমেয়াদে ঋণাত্মক পর্যায়ে অবস্থানের বিষয়টিও যথেষ্ট উদ্বেগের।

রূপপুরে ইউরেনিয়াম হস্তান্তরকে ঘিরে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘পারমাণবিক ক্লাবে ঢুকছে বাংলাদেশ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রূপপুরে নির্মীয়মাণ দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ।

এতে বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক ক্লাবের সদস্যও হতে যাচ্ছে দেশটি। দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের সামগ্রিক কাজের ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হওয়ায় সম্প্রতি রাশিয়া থেকে জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান কঠোর নিরাপত্তায় প্রকল্পে আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্প এলাকায় বাংলাদেশের কাছে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করবেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এর মধ্যে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর প্রক্রিয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইউরেনিয়াম হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে আরেকটি ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) ২ শতাংশ অবদান রাখবে। ২০২৫ সালের শুরুতে প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হতে পারে। উত্তরবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জনগণ এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে।’

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্পটি দেশের সবচেয়ে বড় একক প্রকল্প। এটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে এক হাজার ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার। মোট ব্যয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ অর্থ রাশিয়া ঋণ হিসেবে দিচ্ছে।

তেজস্ক্রিয় জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়ামের ঝুঁকি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ও নির্মাণ কৌশলের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়ামের ব্যবহার দিন দিন নিরাপদ হয়ে উঠছে।

বিশ্বকাপের সূচনা নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘ব্যাটে-বলে বিশ্বজয়ের মহাযুদ্ধ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আজ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর বসছে ভারতের গুজরাট রাজ্যের বৃহত্তম শহর এবং সাবেক রাজধানী আহমেদাবাদে।

সবরমতি নদীর শহর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ত্রয়োদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপ।

উদ্বোধনী ম্যাচ ও ফাইনালের ভেন্যু নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট ভেন্যু। সংস্কার করার পর এর দর্শক ধারণক্ষমতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩৪ হাজারে।

বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ৩০ মিনিটে শুরু উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে ৪৬ দিনের রোমাঞ্চ-শিহরণ, উন্মাদনা-উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়বে। যার সমাপ্তি ১৯ নভেম্বর সেই আহমেদাবাদেই।

ভারতের ১০টি ভেন্যুতে ৪৬ দিনে ৪৮ ম্যাচে ১০টি দল ব্যাট-বলের খেলার সৌকর্য ও গরিমা উন্মোচনে নিজেদের সামর্থ্যরে সবটুকু নিংড়ে দিতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি করবে না।

অংশ নেওয়া ১০টি দল হলো-পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও স্বাগতিক ভারত। এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হলো এই যে, প্রথম দুবারের (১৯৭৫ ও ১৯৭৯) চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ নেই।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক নিয়ে মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর, ‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে পুনরায় জোর যুক্তরাষ্ট্রের’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, সে বিষয়ে আবারো জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

গত ২৭শে সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এই আহ্বান জানান দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।

হোয়াইট হাউসের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক সমন্বয়কারী জন কারবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জ্যাক সুলিভানের সৌজন্য সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা ক্ষেত্রে দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়ন নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৭ই সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সফরেই জ্যাক সুলিভানের সাথে প্রধানমন্ত্রীর প্রায় ঘণ্টাখানেক আলোচনা হয়।

নির্বাচনে দুই দলের অবস্থান নিয়ে নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Confused over participatory, inclusive polls: CEC’ অর্থাৎ ‘অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্ত: সিইসি’।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যে তিনি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের অর্থ সম্পর্কে বিভ্রান্ত ছিলেন এবং যোগ করেন যে নির্বাচন আইনসম্মতভাবে হয়েছে কিনা কমিশন কেবল সেটা নিয়ে মাথা ঘামায়। এর বৈধতা নিয়ে হয়।

অর্থাৎ ‘কে নির্বাচনে এল আর কে এল না, তা নিয়ে মাথা ঘামবে না ইসি। বিপুল সংখ্যক ভোটার যদি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে, তাহলে এটাকে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা যেতে পারে,’ তিনি ঢাকার নির্বাচন কমিশন ভবনে এক কর্মশালায়িএসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কাউকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব ইসির নয়। তবে ইসি নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দলগুলোকে বহুবার আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলে জানান তিনি।

‘আমরা যদি এক শতাংশ ভোট পাই আর ৯৯ শতাংশ না পাই, তাহলেও নির্বাচন আইনগতভাবে সঠিক হবে। বৈধতার প্রশ্নে বিষয়টি ভিন্ন হতে পারে। নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় তা আমরা নিশ্চিত করব। যদি এক শতাংশও ভোট দেয় এবং যে ভোটাররা আসছেন তারা যদি নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তাহলেই ঠিক আছে,’ তিনি বলেন।

ওয়াসার নষ্ট মিটার নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘ওয়াসার নষ্ট মিটারে আজগুবি বিল’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ওয়াসার ভুল বিলের বোঝা বয়ে বেড়াতে হচ্ছে অসংখ্য গ্রাহককে। গত দুই বছরে এমন চার হাজার গ্রাহকের মিটার বদল করেছে ওয়াসা।

উদাহরন হিসেবে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তির মাস ফুরালে পানির বিল বড়জোর ৭০০ টাকা আসলেও। গত বছরের আগস্টে বিল গিয়ে ঠেকে ৩৩ হাজার ৫০৬ টাকায়। পরে তার মিটার পরীক্ষা করে জানা যায় যে মিটারে সমস্যা থাকায় এতদিন দেওয়া হয়েছে ভুল বিল।জমে থাকা প্রকৃত পানির বিল একসঙ্গে করায় টাকার অঙ্ক ৩৩ হাজারের বেশি দেখাচ্ছে। নষ্ট মিটারের সেই ভুলের কিস্তি এখনও টানছেন ওই গ্রাহক।

ভুল বিলের নেপথ্যে রয়েছে নিম্নমানের ঘোলা মিটার। ২০১৮ সালে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নিম্নমানের পানির মিটার কিনেছে খুলনা ওয়াসা। ২০১৯ সাল থেকে মিটার লাগানো শুরু হয়। তবে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি হওয়ায় অল্প দিনেই ঘোলা হয়ে যায় এসব মিটার।

রিডিং দেখতে না পারায় ভুল বিল করে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে গ্রাহক-মনে ক্ষোভ ছড়াতে শুরু করলে ২০২১ সাল থেকে মিটার বদল শুরু করে ওয়াসা। প্রতি মাসেই বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নষ্ট মিটার বদলে দেওয়ার চাহিদা আসছে।

তাতে দেখা গেছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও শতাধিক মিটার বদলাতে হবে। বর্তমানে ওয়াসার প্রায় ৪২ হাজার গ্রাহকের প্রত্যেকের বাড়িতেই মিটার রয়েছে।

বন্যার আশঙ্কা নিয়ে সংবাদের প্রধান শিরোনাম, ‘বিপৎসীমার উপরে তিস্তার পানি, বন্যার আশঙ্কা, রেড এলার্ট-মাইকিং’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতে সিকিমে অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে জল-বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাঁধ ভেঙে রাজ্য এবং এর নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। পাশাপাশি তিস্তার বাংলাদেশ অংশেও হু হু করে পানি বাড়ছে।

উজানের পানি মাত্রারিক্ত বৃদ্ধির কারণে তিস্তা নদীর পানি সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করার আশঙ্কা করছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ। ইতোমধ্যে দেশে তিস্তার পানির উচ্চতা বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে গেছে, রাতের মধ্যে যা ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।

বুধবার পানি উন্নয়ন বোর্ড আরও জানিয়েছে, তিস্তা নদীর পানি সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করতে পারে এই আশঙ্কায় বুধবার রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলা প্রশাসন ওই এলাকার চরাঞ্চলে বসবাসকারী ৫০টি গ্রামের ৭০ হাজার পরিবারকে বাড়িঘর ছেড়ে মালামাল নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে দুপুর থেকে মাইকিং শুরু করেছে।

তিস্তানদীর চরাঞ্চলের গ্রামগুলো ৬ থেকে ৭ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে এই আশংকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেটের সবগুলো খুলে দেয়া হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে।সূত্র: বিবিমি বাংলা