বসন্তে ভালোবাসায় রাঙলো রাজশাহীর পদ্মাপাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাতাসে বসন্তের বার্তা। গাছ থেকে ঝরে পড়ছে পুরাতন যতো ধূসর পাতা। আর তার জায়গা বদল করছে সবুজ কিশলয়। হঠাৎ কোথাও ডেকে উঠছে কোকিল। রঙেবেরঙের ফুলে ভরে উঠছে বাগানগুলো। দীর্ঘ শীতের কুয়াশা মোড়ানো প্রান্তর পাড়ি দিয়ে অবশেষে আমাদের দোরগোড়ায় এসেছে ফাল্গুন। এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত!

আজ রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পহেলা ফাল্গুন। বাংলা বর্ষপঞ্জির হিসেবে রদবদল হওয়ায় ১৩ ফেব্রুয়ারির জায়গায় ১৪ ফেব্রুয়ারিই পালিত হচ্ছে পহেলা ফাল্গুন। একই দিনেই পালিত হবে ভালোবাসা দিবসও। ফলে যুগপৎ ভালোবাসা আর বর্ণালী রঙের বাহার নিয়ে আসছে দিন। তাই তো সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীর আকাশেবাতাসে লেগেছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও ফাগুনের ছোঁয়া!

রাজশাহী মহানগরীর অন্যতম পর্যটন এলাকা পদ্মাপাড়। বিনোদনের অন্যতম এ এলাকাটি আরও আকর্ষণীয় ও দৃষিনন্দন করতে পদ্মাপাড়কে ঘিরে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। তাই তো দ্বি-গুন আনন্দে রং লেগেছে রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে।

দিবসটি উপলক্ষে রাজশাহীর পদ্মাপাড়ের মানুষের বাহারী পোশাকের পাশাপাশি বাসন্তী শাড়ি পড়ে বাঙ্গালী মেয়েরাও সেজেছিল ভিন্ন সাজে। তিল ঠাঁই ছিলনা বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে। মেয়েদের খোপায় ছিল সাজানো ফুল, কারো হাতে ছিল লাল টুকটুকে গোলাপ, কেউবা এসেছিল তার প্রিয় মানুষটিকে সময় দিতে। কেউবা এসেছে একা, কেউ বা বন্ধু বান্ধবদের সাথে, উদ্দেশ্য ছিল একটাই আপনজনকে ভালোবাসার জানান দেয়া।

ভালোবাসা ও পহেলা ফালগুন এইদিনে রাজশাহীর টি বাঁধ, পদ্মা গার্ডেন, লালন শাহ মঞ্চ ও চিড়িয়াখানা, বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। রাজশাহীতে সরকারিভাবে নির্মিত বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ছিল তরুণদের হই হুলোড়, বনভোজন, নাচ গান আর সেলফির আবহে কেটেছে তরুণ তরুণীদের।

রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে ঘুরতে আসা রাজশাহী কলেজের ছাত্রী আজিমা পারভীন জানান, একটি বছরঘুরে আজ আবার প্রকৃতিতে এসেছে বসন্ত। বসন্তের নতুন রঙে সেজেছে প্রকৃতি তার পাশাপাশি আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। তাই দুটি দিনকে একসাথে উদযাপন করতে আমি আমার পরিবার নিয়ে আজ ঘুরতে এসেছি। চারিদিকে সুন্দর সাজে বিভিন্ন মানুষের আনাগোনা দেখে আমার বেশ ভালোই লাগছে।

এদিকে, সবুজের সমারোহে অবস্থিত পদ্মার চরের কাশফুলের আমেজ ও সুবিশাল পদ্মার চর যাকে বলা হয় নির্মল চর। শত শত মানুষের ভিড়ে পদ্মার চরে উল্লাসে মেতে উঠেছিল দর্শনার্থীরা।

শুধু তাই নয়, পড়ন্ত বিকালের সৌন্দর্য উপভোগের স্থান টিবাধে ও পদ্মা গার্ডেনে ছিল অজস্র মানুষের ঢল। দিনের শেষে পড়ন্ত বিকালে সৌন্দর্য দেখতে যেনো স্থানটিতে সবাইকে আসতে হবে বাধ্য করছে।

এছাড়াও জাদুঘর, হায়টেক পার্ক, নব-গঙ্গা, জেলা পরিষদ পার্ক,  চিড়িয়াখানা ও রাজশাহীর বিভিন্ন জায়গায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি সত্যই প্রমান করে বসন্তে ভালোবাসার রং লেগেছে রাজশাহীর মানুষের মনে।

স/অ