বল টেম্পারিং কাণ্ডে শাস্তি পেয়েও নিজেকে নির্দোষ দাবি বোপারার

চলতি বিপিএল আসরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হয় সিলেট সানরাইজার্সের। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের পরিবর্তে এদিন সিলেটের অধিনায়কত্ব করেন রবি বোপারা। আর এই ম্যাচেই প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইংলিশ এই অলরাউন্ডার করে বসেন বল টেম্পারিং।

খুলনার ইনিংসের নবম ওভারে বল টেম্পারিং করেন বোপারা। সেই ওভারের চতুর্থ বলটি করার আগেই বল বিকৃত করার চেষ্টা করতে দেখা যায় বোপারাকে। নিজের দুই হাতের নখ দিয়ে বলের চামড়ার ওপর ঘষতে থাকেন তিনি। বিষয়টি আম্পায়ারের দৃষ্টিগোচর হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সিলেট অধিনায়কের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। বোপারার উত্তরে যে সন্তুষ্টি মেলেনি আম্পায়ারদের, তা স্পষ্টই বোঝা গিয়েছিল। এরপর তৎক্ষণাৎ সিলেটকে ৫ রান জরিমানা ঘোষণা করেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। এর আগে পরিবর্তন করা হয় বিকৃত করা বল।

ঘটনার রেশ এখানেই থেমে যায়নি। ম্যাচ শেষে ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল বোপারাকে ৩ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। সেই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করলে বোপারার শাস্তি কমানো হয়েছে। কমানো শাস্তিও অবশ্য কম নয়। বোপারাকে ম্যাচ ফি এর ৭৫ শতাংশ জরিমানা গুনতে হবে। সেই সাথে তার নামের পাশে বসানো হয়েছে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট।

বিসিবি জানিয়েছে, বল বিকৃতি বা বিকৃতির চেষ্টা বিপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশনের ৪১.৩ নবর ধারা ভঙ্গ করে। ম্যাচ রেফারির আরোপিত শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করে নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচলেও জরিমানা ও ডিমেরিট পয়েন্ট থেকে আর বাঁচার সুযোগ নেই বোপারার। আর একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হতে হবে বোপারাকে।

তবে বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে বোপারা দাবি করলেন, তিনি আসলে বল টেম্পারিং করেননি, পুরো বিষয়টিই ছিল ভুল বোঝাবুঝি। এসময় বল হাতে নিয়ে গ্রিপ দেখিয়ে ইংলিশ অলরাউন্ডার বলেন, আসলে আমার নাকল বলকেই টেম্পারিং ভেবে ভুল হয়েছে।

বোপারা বলেন, আমি যখন নাকল বল করি, দৌড় দেওয়ার সময় বলটা লুকিয়ে রাখি। মাঝেমধ্যে আমি বলটাকে এভাবে-ওভাবে (গ্রিপ দেখিয়ে) ধরি। এই গ্রিপটা সহজ নয়। বিশেষ করে ভেজা বলে। এটার জন্য আপনাকে বলের সেরা অংশটা খুঁজে বের করতে হবে। সেটা করতে না পারলে যদি বল ভেজা থাকে, তবে উড়ে যাবে, এমনকি নো বলও হয়ে যেতে পারে।’

বলের সুবিধাজনক অংশটা বের করতে গিয়ে নখ দিয়ে বারবার জায়গা পরিবর্তন করতে হয়, দেখিয়ে বোপারা বলেন, আমার মনে হয়, এই ব্যাপারটিকেই ভুল বোঝা হয়েছে। এটা আসলেই হতাশাজনক। কিন্তু এটাই জীবন।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন