বর্ষাকালে ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি জ্বর লেগেই থাকে। সেইসঙ্গে বাড়ে টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর মতো অসুখ। তাই বর্ষায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া অনেক জরুরি। এসময় নিজেকে সুস্থ রাখতে খাওয়া-দাওয়াসহ কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত।
কী করবেন:
১। বেশি করে পানি খাবেন।
২। করলা খাওয়ার চেষ্টা করুন ভাতের সঙ্গে। প্রয়োজনে নিমপাতা দিয়ে কোন পদ বানাতে পারেন।
৩। শাক-সবজি খাওয়ার আগে অনেকক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভাল করে ধুয়ে নেবেন।
৪। প্রতিদিন একটা করে আমলকি খাওয়ার চেষ্টা করুন। আমলকি খেলে লিভার সুস্থ থাকবে এবং হজমের সুবিধা হবে।
কী করবেন না
১। অতিরিক্ত লবণ দেওয়া খাবার খাওয়া বাদ দিন। যে খাবার খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ে, তা এড়িয়ে চলাই ভাল।
২। তেলেভাজা, চপ, সিঙ্গাড়া বা অন্য কোনও জাঙ্ক ফুড যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
কোন যোগাসন উপকারী
১। কপালভাতি
শ্বাসনালী পরিষ্কার রেখে ফুসফুস আরও শক্তিশালী করতে কপালভাতি করতে পারেন। বাবু হয়ে বসে পেটের উপর একটা হাত রাখুন। গভীর শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ার সময় পেট যতটা সম্ভব ভিতরের দিকে টেনে নিন। অন্তত ২০ বার এই ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন।
২। নদী সন্ধান প্রাণায়ম
নাক বন্ধ থাকলে এই প্রাণায়াম সাহায্য করে। সাইনাসের জোর বাড়াতেও কার্যকরী এই নিঃশ্বাসের পদ্ধতি। ডান নাসিকা দিয়ে গভীর শ্বাস নিয়ে বাঁ নাসিকা দিয়ে ছাড়তে হবে ধীরে ধীরে। হয়ে গেলে উল্টো ভাবে বাঁ নাসিকা দিয়ে শ্বাস নিয়ে ছাড়তে হবে ডান নাসিকা দিয়ে।
৩। সেতু বন্ধাসন
চিৎ হয়ে শুয়ে হাঁটু মুড়ে দুই পা কোমরের কাছে আনতে হবে। তারপর দু’হাত দিয়ে দুই গোঁড়ালি ছুঁয়ে শরীরটা তুলে দিতে হবে। মাথা থাকবে মাটিতেই। থাইমাস গ্ল্যান্ডের জন্য এই আসন খুব উপকারী। শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৪। নৌকাসন
আগের আসনের মতোই এই আসনও থাইমাসে কাজ করে শরীরে প্রতিরোধশক্তি বাড়ায়। চিৎ হয়ে শুয়ে পা দুটো মাটি থেকে ৩০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে তুলে দিতে হবে। হাত দু’টো সোজাসুজি তুল পা ধরার মতো ভঙ্গিতে শরীরে উপরাংশ উঠিয়ে দিতে হবে। এই ভাবে ২০ সেকেন্ড ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
৫। ভুজঙ্গাসন
উপুর হয়ে শুয়ে পা মাটিতে ঠেকিয়ে রেখে হাত দু’টো কনুইয়ের কাছ থেকে মুড়ে বুকের কাছে আনতে হবে। হাতের তালুর উপর ভর করে মাথা উঠিয়ে শরীরে উপরাংশ তুলতে হবে। থাইমাস গ্ল্যান্ডে কাজ করে টি সেলের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে এই ব্যায়াম।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ