বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম বলেছেন, সপরিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ছিল মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে বড় ঘটনা, বিশেষত তাঁর পরিবারের সকল সদস্য, শিশু, নারী, গর্ভবতী মাসহ সকলকে যেভাবে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়, পৃথিবীর রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ইতিহাসে তা বিরল। অথচ যারা সব সময় মানবাধিকারের কথা বলে উচ্চকিত থাকেন, তাদের অনেকেই বিষয়টি এড়িয়ে যান। শিশু রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে খুনিরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে পরম আদরের নাম। অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আজ বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনায় সভায় প্রধান আলোচক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম এসব কথা বলেন। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. ওসমান গনি তালুকদারের সভাপতিত্বে ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আশিক মোসাদ্দিক-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় সভায় আরো বক্তব্য উপস্থাপন করেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফয়জার রহমান। অনুষ্ঠানে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব সুরঞ্জিত মন্ডল, বিভিন্ন বিভাগের কোঅর্ডিনেটর, শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর অন্যান্য সন্তানের মতো শেখ রাসেলও ছিলেন মেধাবী। প্রতিশ্রুতিশীল এই সন্তানকে ঘাতকরা হত্যার মাধ্যমে একটি অমিত সম্ভাবনা ধ্বংস করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. ওসমান গনি তালুকদার তাঁর বক্তব্যে উপস্থাপন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ঘাতকের বুলেটে শহিদ না হলে তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশে খুব দ্রুতই উন্নত দেশের কাতারে প্রবেশ করত।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফয়জার রহমান তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ ও তা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন প্রত্যেকটা টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের একাত্তরের দিনগুলিতে যেসব ঘটনা ঘটেছিল সেগুলো এক মিনিটের একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী করার জন্য সরকারের নিকট বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে সেটি পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান।

শেখ রাসেল দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ছাড়াও শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, বৃক্ষরোপণ ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

জি/আর