বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ডাইনিং বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনের ষষ্ঠ দিনের মাথায় কঠোর এ পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে যথারীতি চলছে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এক দফা আন্দোলন। রোববার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এ সময় তারা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন ক্যাম্পাস।

এদিকে রাজস্ব অডিট অধিদফতরের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিটের জন্য আসেন। তাদের কাজের সুযোগ করে দেয়ার জন্য প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে তৃতীয় দিনের মাথায় উপাচার্য তার কটূক্তিমূলক বক্তব্যের জন্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এতে সন্তুষ্ট নন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

পঞ্চম দিনে বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। এর পর রাতে হলে ডাইনিং চালু থাকলেও আজ সকাল থেকে তা বন্ধ করে দেয়া হয়।

মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোয় প্রতিবাদকারীদের উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এরই প্রতিবাদে গত ২৬ মার্চ থেকে ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা এবং বিকাল ৫টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ওই নির্দেশ অগ্রাহ্য করে হলে অবস্থান করে আন্দোলন করছেন।