মানিকগঞ্জে বন্যার পানিতে ৩০ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। এতে সাধারণ মাছ ব্যাবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ডুবে আছে। এর মধ্যে হরিরামপুর ও দৌলতপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর প্রতি দিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পুকুর, ডুবা, মাছের ঘের ডুবে যাচ্ছে। এতে হাজার হাজার মাছ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
মানিকগঞ্জ জেলা মৎস কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, সাত উপজেলায় মোট ১৪ হাজার ৪৭৯টি পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি পুকুর ১০২টি। বিল রয়েছে ৬০টি, প্লাবন ভূমি রয়েছে ১৪৫টি, খালের সংখ্যা ৪৬টি। এসব জলাশয়ে মাছ চাষ করা হয়।
মানিকগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘বন্যার পানিতে ২১ জুলাই পর্যন্ত জেলায় মোট চার হাজার ছয়টি পুকুর ডুবে গেছে। এর আয়তন এক হাজার ৪৩ হেক্টর জমি। এতে দুই হাজার ৭২৪ জন মাছ চাষীর দুই কোটি ৬২ লাখ পোনা এবং এক হাজার ৭৭৪ মেট্রিক টন মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে অবকাঠামোসহ প্রায় ৩০ কোটি ১৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
সাটুরিয়া উপজেলা বালিয়াটী ইউনিয়নের মাছ চাষি লোকমান বলেন, ‘আমার তিনটি পুকুরে আট লাখ টাকার মাছ ছিলো। বন্যার পানিতে সব মাছ ভেসে গেছে।’
একই উপজেলার গোপালনগর গ্রামের আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমার দুটি পুকুর মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর একটু পানি বাড়লেই আমার পুকুর ভেসে যাবে। এতে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হবে।
হরিরামপুর উপজেলার বয়রা ইউনিয়নের আন্দারমানিক গ্রামের মাৎস চাষী মিশন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের উপজেলার অধিকাংশ পুকুরই পানির নিচে। আমার প্রায় তিন লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।’
মানিকগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা আপাতত ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরের মালিকদের তালিকা করছি। বানের পানি নেমে গেলে তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করা হবে।’