বন্ধ হচ্ছে ঢাবির করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ ল্যাব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তকরণ ল্যাব চালু হয় ৫ মে। তবে শনাক্তকরণ মেশিনের অভাব, আর্থিক সংকট, অপ্রতুল জনবলসহ নানা কারণে একমাস না যেতেই সোমবার (১ জুন) থেকে বন্ধ হচ্ছে ঢাবির করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাভাইরাসের ল্যাবের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার সময় জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

তিনি জানান, গত ৫ মে থেকে আমরা দেশের মানুষের সেবা দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ ল্যাব চালু করি। ল্যাবের সকল যন্ত্রপাতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দেশের গবেষণা সংস্থার কাছ থেকে আনা। যা ৩১ মে পর্যন্ত ব্যবহার করব বলে তাদের সঙ্গে চুক্তি হয়। এখন চুক্তির মেয়াদ শেষ। তাই আর করোনা শনাক্তকরণ কার্যক্রম চালু রাখা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের গবেষক দল করোনাভাইরাসের পাঁচটি জিনোম সিকোয়েন্স করতে সক্ষম হন। রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা পেলে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব। এছাড়া করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক যদি ভালো মানের গবেষণা করে, তাহলে তার যাবতীয় খরচ ব্যবস্থা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোগ নেবে এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করা বলে আশ্বস্ত করেন ঢাবি উপাচার্য।

গত ১৪ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রেসপন্স টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক শরীফ আখতারুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শতাধিক রোগীর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ করা হবে। তবে পর্যাপ্ত ফান্ডিং পেলে পরবর্তীতে ২০ হাজার জিনোম সিকোয়েন্স করা হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে এক কোটি টাকার মতো অর্থের প্রয়োজন হতে পারে।

তবে শেষ পর্যন্ত কতগুলো জিনোম সিকোয়েন্সিং করা গেছে তার তথ্য জানা যায়নি।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ