বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ দিনে টোল আদায় পৌনে ১৮ কোটি টাকা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

এবার ঈদুল আজহায় বড় ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি পৌঁছেছেন। সেই সঙ্গে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় ঘরমুখো যাত্রীরা সন্তোষ প্রকাশও করেছে।

জানা যায়, এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত শুক্রবার (২৩ জুন) থেকে বুধবার (২৮ জুন) পর্যন্ত ছয় দিনে সেতুতে দুই লাখ ২৪ হাজার ৭৬০টি যান পারাপার হয়েছে।

এতে সেতুর পূর্ব ও পশ্চিমে মোট টোল আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ৭১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫০ টাকা। এর মধ্যে ২৭ জুন মঙ্গলবার সেতুতে টোল আদায় ও যান পারাপারে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এক দিনে সেতুতে শুধু মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে ১৪ হাজার ১২৩টি। এ ছাড়া ঈদুল ফিতর থেকে ঈদুল আজহায় প্রায় দ্বিগুনসংখ্যক যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারি দিয়েছে।
সেতুর পূর্ব টোল প্লাজা অতিক্রম করে উত্তরবঙ্গের দিকে গেছে এক লাখ ৩৪ হাজার ১১০টি যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ৯ কোটি ৭২ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা। অন্যদিকে সেতুর পশ্চিম টোল প্লাজা অতিক্রম করে ঢাকার দিকে গেছে ৯০ হাজার ৬৫০টি যান। এতে টোল আদায় হয়েছে সাত কোটি ৯৯ লাখ ২৬ হাজার ৫০ টাকা।

এবার ঈদে মহাসড়কে যান বিকল, সেতুর ওপর দুর্ঘটনা ও অতিরিক্ত পরিবহনের চাপে টোল সিস্টেম বন্ধ হওয়ার কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। যানজটের ফলে সেতুর পূর্বে ১৪ কিলোমিটার এলাকায় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের। তবে মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তৎপরতা প্রশংসা পেয়েছে। যাত্রীরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ‘ঈদের কয়েকদিনই পরিবহনের চাপ ছিল।

এতে টোল আদায়ে ও যান পারাপারে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।’নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন গড়ে ১৮-২০ হাজার যানবাহন সেতু দিয়ে পারাপার হয়। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহের প্রায় ২৩ জেলার যানবাহন চলাচল করে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সাত শতাধিক পুলিশ সদস্য মহাসড়কে দিনরাত নিরলস কাজ করেছেন। প্রায় ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ বাড়ি ফিরতে পেরেছেন।’

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মহাসড়কে আমাদের ভ্রাম্যমাণ টিম তৎপর ছিল। বড় কোনো দুর্ঘটনা বা ভোগান্তি ছাড়াই ঘরমুখো মানুষ বাড়ি পৌঁছেছেন। আশা করি মানুষ পরিবার পরিজনের সঙ্গে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ করেছেন।’

সূত্র: কালের কণ্ঠ