বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় নেপথ্যের ব্যক্তিদের শাস্তি ও নাম প্রকাশের দাবি মেয়র লিটনের

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রায় সপরিবারে হত্যায় ফাঁসির দ-প্রাপ্তরা ছাড়াও আরো যারা জড়িত ছিল, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদের মধ্যে হয়তো কেউ মৃত্যবরণ করেছে, অথবা কেউ বৃদ্ধ হয়েছে, তাদের সবার শাস্তি ও নাম প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা সুবিধাভোগী হয়েছে, তাদের নামও প্রকাশ ধরা দরকার।

রবিবার দুপুরে বার ভবনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ রাজশাহীর উদ্যোগে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২০ উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে এই দাবি জানান মেয়র।

সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান দেশ ভাগের পরে বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন এই স্বাধীনতায় পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের কোন লাভ হবে না। এটি বুঝতে পেরেই বঙ্গবন্ধু প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু যে উদ্দেশ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, দেশ স্বাধীনের পর সেটি বাস্তবায়নে তঁকে কিছু করতে হয়েছে। এই কাজ করতে গিয়ে কায়েমী স্বার্থবাদীরা ও একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা বঙ্গবন্ধুর বিরোধীতা করে। বঙ্গবন্ধু সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে যা যা করা দরকার, সবই করেছিল তৎকালীন জাসদ নেতৃবৃন্দ। এরপর বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের কল্যানের কথা ভেবে সব বিষ হজম করে নীলকণ্ঠী হয়েছেন।

মেয়র আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, স্বাধীনতার পর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেন। কিন্তু ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে তাঁর সোনার বাংলা গড়তে দিলো না। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন। এখন যেদিকে তাকাবেন, দেশের সর্বত্রই দৃশ্যমান উন্নয়ন চোখে পড়বে। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে আজ বাংলাদেশ যে অবস্থানে, আরো অন্তত ২০ বছর আগেই সেই অবস্থানে পৌছে যেতো দেশ।

সভায় বক্তরা বলেন, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা একই সূত্রে গাঁথা। এখনো বঙ্গবন্ধুর যে ৫জন খুনি বেঁচে আছে, তাদের বিদেশ থেকে ফেরত এনে বিচার কার্যকরের দাবি জানাই। বঙ্গবন্ধু হত্যায় নেপথ্যে যারা ছিল, তাদের নাম প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।

সভার সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এ্যাড: মোজাফফর হোসেন। আরো বক্তব্য দেন রাজশাহী এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট লোকমান আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাভোকেট একরামুল হক, পিপি এ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন প্রমুখ।

সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাভোকেট মোসাব্বিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, এ্যাডভোকেট শাহজাহান আলীসহ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স/অ