বগুড়ায় ৫ টাকায় ডিম, বিপাকে আড়ৎদাররা

আদমদীঘি প্রতিনিধি:
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই ৪০ টাকা হালি মুরগির ডিম ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি ডিম ৫টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এতে ক্ষতির মূখে পড়েছেন পৌর এলাকার বেশ কয়েকজন আড়ৎদাররা।

এসব আড়ৎদাড়রা রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন এলকায় গড়ে ওঠা খামার থেকে ডিম সংগ্রহ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি দরে সরবরাহ করে থাকেন। কিন্তু করোনার কারণে যানবাহন বন্ধ হওয়াসহ জনসমাগম কমে যাওয়ায় আড়তে ক্রেতার দেখা মিলছে না। তাই সংগ্রহ করা ডিম নিয়ে তারা বিপাকে পড়েন।

জানা যায়, সান্তাহার জংশনকে ঘিরে স্টেশনের পশ্চিম পার্শ্বে গড়ে ওঠেছে বেশ কয়েকটি ডিমের আড়ৎ। এসব আড়ৎদাড়রা বিভিন্ন এলকার খামারিদের কাছ থেকে ডিম সংগ্রহ করেন। সান্তাহার ও নওগাঁ এলাকার খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহের পাশাপাশি এখন রাজধানী ঢাকায় সরবরাহ করছেন। তারা বলছেন এসব ডিম ট্রেন ও পিকআপ যোগে সরবরাহ করে থাকেন। তবে খরচ ও ঝুঁকি কমের জন্য ট্রেন যোগে বেশি সময় ডিম পাঠানো হয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এই দুই মাধ্যম বন্ধ থাকায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েন।

স্টেশন জামে মসজিদ এলাকায় ভাই ভাই ডিমের আড়ৎদার বাটুল হোসেন জানান, করোনার কারণে যানবাহন বন্ধ এবং আড়ৎ খুলতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় মজুদ রাখা ১৫হাজার মুরগির ডিম নিয়ে মহাবিপাকে পড়ি। এরপর ক্রেতা না থাকায় ও গরমবৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার রাতে অর্ধেক দামে স্থানিয়দের কাছে ডিমগুলো বিক্রি করি। ফলে করোনার জন্য ব্যাবসাতে মারাত্বক লস গুনতে হলো।

আরেক আড়ৎদার গোলাম মোস্তফা বলেন, যেসব খুচরা ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার হাটবাজারগুলোতে ডিম নিয়ে যান, সেসব খুচরা ক্রেতারা গণপরিবহনের কারণে আড়তে আসতে পারছেন না। ফলে ডিমের বাজারে এই ধস নেমেছে। এতে আড়ৎ মালিকদের অর্ধেক দামে ডিম বিক্রয় করতে হচ্ছে।

আবু সাঈদ নামে এক ক্রেতা জানান, আড়ৎ থেকে বাড়ির জন্য অর্ধেক দামে মুরগির ডিম কিনতে পেরে খুব ভালো লাগছে। তবে করোনা ভাইরাস আতঙ্কও রয়েছে তাদের মনে। এই ডিম কিনে করোনায় আক্রান্ত হতে হয় কিনা তা নিয়েই বেশী ভাবনা হচ্ছে।

স/অ