আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে একটি বাগান থেকে ফেরি করে কাপড় বিক্রি করা নারী ছালমা বেগমের (৪০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার(১৮ অক্টোবর) দুপুরে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ছালমা বগুড়ার ধুনট উপজেলার পার নাটাবাড়ি গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফেরি করে কাপড় বিক্রির জন্য বগুড়ার ধুনট থেকে গত ছয় বছর আগে আদমদীঘির সান্তাহারে আসেন স্বামী পরিত্যাক্তা নারী ছালমা বেগম। উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেই সাথে বিভিন্ন এলাকায় তিনি ফেরি করে কাপড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সর্বশেষ সান্তাহার কলসা সোনার পাড়ায় দেলু নামের এক ব্যাক্তির বাসায় ভাড়া থাকতেন। হঠাৎ ব্যবসা মন্দা যাওয়ায় তিনি অর্থ সংকটে পড়েন। এ কারনে গত ৩ অক্টোবর নিরুপায় হয়ে বাসাটি ছেড়ে দেন। একেতে গৃহহীন তার ওপরে মহাজন ফোন করে বকেয়া টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। দিশেহারা হয়ে ছালমা ঘুরতে থাকেন বিভিন্ন স্বজনের বাড়িতে। কিন্তু তার কষ্টের কথা শুনেও কেউ সাহায্যের হাত বাড়ান নি।
এক পর্যায়ে রবিবার রাতে তার বোনের বাড়ি বগুড়া স্টেশন কলোনী এলাকা থেকে ছালমা পদ্মরাগ ট্রেনে সান্তাহার ফিরে আসেন। এরপর সোমবার সকালে সান্তাহার পৌর শহরের প্রবাসীপাড়ার জনৈক টিটুর গরুর সেড সংলগ্ন বাগান থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধরনা করা হচ্ছে অর্থসংকটে পড়ে তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মৃত্যুর এলে আসল কারন জানা যাবে।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
জেএ/এফ
