বগুড়ায় পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী’র পেট কেটে হত্যা

নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি:

বগুড়ার নন্দীগ্রামে নারী শ্রমিক কিরণী বালার হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পরকীয়া সন্দেহে তৃতীয় স্ত্রী কিরণী বালা (৪৩) কে ঘুমন্ত অবস্থায় ব্লেড দিয়ে পেট কেটে হত্যা করে পাষন্ড স্বামী সুরেশ প্রামনিক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনটি বিয়ে করেছিল সুরেশ। সে টাকার পাগল ও অত্যাচারী ছিল। যার কারণে এক স্ত্রী তাকে ডির্ভোস দিয়েছে। আরেক স্ত্রী থাকেন বাবার বাড়িতে। আর তৃতীয় স্ত্রী কিরণী বালা থাকতেন তার সাথে। কিরণী ইট ভাঙ্গার কাজ করত। ইট ভাঙা এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করে যা আয় হতো তা তুলে দিতেন স্বামীর হাতে। তবুও পাষন্ড স্বামীর হাতেই খুন হলেন কিরণী বালা। পরকীয়া সন্দেহে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ধারালো ব্লেড দিয়ে ঘুমন্ত কিরণী বালাকে পেটে কেটে হত্যা করে সুরেশ।

পৌর এলাকার কালিকাপুর গ্রামে এ হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত কিরণী বালার স্বামী সুরেশ প্রামনিককে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে সুরেশ। স্ত্রীর সাথে অন্য কারো পরকীয়া আছে, এই সন্দেহেই স্ত্রীকে তাকে হত্যা করা হয়।

প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার রাতের খাবর খেয়ে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের ঘরে শুয়ে পড়েন। এরপর সুযোগ বুঝে সুরেশ তার স্ত্রী কিরণী বালার পেটে ধারালো ব্লেড চালায়। তখন তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে রাতেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করে এবং হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ত সন্দেহে নিহতের স্বামী সুরেশ প্রামনিককে আটক করে।

ঘটনার পর থেকেই সুরেশ দাবি করছিল, গভীর রাতে কে বা কাহারা শয়ন ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশের হাতে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে সে।

শনিবার দুপুরে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, স্ত্রী হত্যাকারী সুরেশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি আরও জানান, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ব্লেড উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে সুরেশকে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

স/অ