বগুড়া স্টেডিয়ামের বিরুদ্ধে কাজ করছে এক শ্রেণির সিন্ডিকেট: হিরো আলম

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বিসিবির কার্যক্রম পুনর্বহাল ও খেলা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে শহরের খান্দার এলাকায় শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে হিরো আলম বলেন, বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের বিরুদ্ধে এক শ্রেণির সিন্ডিকেট কাজ করছে। এরা চায়না বগুড়ায় স্টেডিয়াম থাকুক। এরা চায়, স্টেডিয়াম থেকে সব চলে যাক। যখন এ স্টেডিয়াম পড়ে থাকবে ওই লোকেরা তখন মাঠে জুয়ার আসর বসাবে, মেলা করার চেষ্টা করবে, কোরবানি এলে হাট বসবে। স্টেডিয়াম কি মেলা, হাট বা জুয়ার আসর বসানোর জন্য? সিন্ডিকেট চায় স্টেডিয়াম পরে থাকুক। তখন ওরা ৯৯ বছরের জন্য মাঠ লিজ নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করবে।

তিনি বলেন, স্টেডিয়াম থেকে মালামাল ও কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া বগুড়াবাসীর জন্য লজ্জার।

হিরো আলম অভিযোগ করেন ১৫ বছরেও বগুড়ার উন্নয়নে কোনো কাজ করা হয়নি। একটা পক্ষ চাচ্ছে না এখানে খেলাধুলা হোক। কারণ খেলাধুলা হলে মাঠ তো চাঙ্গা থাকবে। তাই তারা এমন কাজ করছে গোপনভাবে যে- বিসিবি থেকে খেলা আসার আগেই তারা তাদের খেলার জন্য চিঠি দিচ্ছে যেন খেলা না হয়। এখন বছরের পর বছর কি মাঠটি পড়ে থাকবে।

বিসিবির উদ্দেশ্যে হিরো আলম বলেন, আমাদের স্টেডিয়ামের যেসব মালপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হোক। আর প্রতিবছর বিভিন্ন জেলায় যেভাবে খেলা হয় আমরাও এ স্টেডিয়ামে তেমন আন্তর্জাতিক খেলা দেখতে চাই।

মানববন্ধন শেষে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন। এ সময় জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ও বগুড়া সন্তান শফিউল ইসলাম সুহাসের সঙ্গে দেখা হয় হিরো আলমের। বিসিবির কার্যক্রম স্টেডিয়ামে ফিরিয়ে আনতে এ ক্রিকেটারের কাছেও অনুরোধ জানান হিরো আলম।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে একটি টেস্ট ও পাঁচটি ওয়ানডে হওয়ার পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি বগুড়ার এ স্টেডিয়ামে। তবে সচল ছিল ঘরোয়া ক্রিকেট। সেই সুবাদে এ মাঠের ভালো-মন্দের দেখভাল করে আসছিল বিসিবি। পরে বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে গত ২ মার্চ সেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায় বিসিবি। এ স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ভেন্যুতে কর্মরত বিসিবির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এরই মধ্যে অন্য ভেন্যুতে বদলি করা হয়েছে।