বউমাকে অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করতেন শাশুড়ি

সিল্কিসিটিনিউজ ডেস্ক:

সমন্ধ করে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে নববধূর ওপর চলতে থাকে অন্যরকম মানসিক নির্যাতন। অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তৈরি করতে হবে নববধূকে। চাপ আসতে থাকে খোদ শাশুড়ির দিক থেকেই। আর প্রস্তাব না মানায় পরিণতি হল ভয়ঙ্কর। নববধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর অভিযোগে স্তম্ভিত পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার পোড়ালদা গ্রামের বাসিন্দারা।

আপাত দৃষ্টিতে ছাপোষা সংসার। আর তা দেখেই মেয়েকে পোড়ালদা গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিত্ গিরির সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিল চুমকির পরিবার। কিন্তু সেই পরিবারের অন্দরেই যে রয়েছে এত বড় যৌনতার ফাঁদ, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কেউ। ছ’মাস আগে চুমকি-বিশ্বজিতের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বেশ কিছুদিন চুমকিকে খুবই যত্ন করতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। কিন্তু অভিযোগ, মাস দুয়েক যেতেই নাকি শাশুড়ির আসল চেহারা বেরিয়ে আসে। চুমকি অন্য পুরুষের সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন শাশুড়ি।

এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চুমকির ওপর চলতে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। অভিযোগ, শাশুড়ি জোর করে রাতে বউমার ঘরে অন্য পুরুষ ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। গোটা বিষয়টিতে ইন্ধন থাকত স্বামীরও। সোমবার রাতেও এই নিয়ে চলে অশান্তি। অভিযোগ, রাতেই শ্বশুর ও শাশুড়ি ও স্বামী চুমকির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

গিরি পরিবারে নিত্য অশান্তির কথা অজানা ছিল না প্রতিবেশীদের। তাই সোমবার সন্ধ্যার অশান্তিও তাঁরা প্রথমে খুব একটা আমল দেননি। কিন্তু পরে চামড়া পোড়ার গন্ধ ও চুমকির আর্ত চিত্কার শুনতে পেরে প্রতিবেশীরা বাড়ির পিছনের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। কিন্তু ততক্ষণে চুমকির শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে গ্রামীণ হাসপাতালে ও পরে সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই লড়াই শেষ হয় চুমকির।

চুমকির পরিবার বিশ্বজিত্ ও তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে বেলদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। কলকাতা ২৪