ফেসবুকে দুই তরুণীর ছবি ছড়িয়ে অপপ্রচার

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতে মূল অভিযুক্তসহ দুই আসামির স্বীকারোক্তির পরও অপপ্রচার পিছু ছাড়ছে না রাজধানীর বনানীতে ধর্ষণের শিকার দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর। ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দুই ছাত্রীর ছবি ছড়িয়ে দিয়েছে একটি চক্র। এসব ছবিতে আপত্তিকর মন্তব্যও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পারিবারিক সূত্র বলছে, ভিডিওর কথা জানার পর তা মুছে ফেলার জন্য সৌরভ ও পাপ্পু নামে দুই তরুণীর বন্ধুকে সাফাত, সাদমান ও নাঈমের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে ভুক্তভোগী এক তরুণীর ছবিও আপলোড করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ডিসি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা কতগুলো অ্যাকাউন্ট ডিলিট করব? ছবিগুলো অন্যের কাছে যায় কিভাবে? আমরা আমাদের মতো কাজ করছি। এছাড়া বনানীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ভিডিও ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ। মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের মোবাইল ফোন থেকেই ওই ভিডিও চিত্র পাওয়া গেছে। সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালের মোবাইল ফোন থেকে দুই শিক্ষার্থীর ধর্ষণের চিত্র নিজের মোবাইলে নিয়েছিল সাফাত।

এ ঘটনায় সাফাতের বিরুদ্ধে বনানী থানায় আইসিটি অ্যাক্টে একটি মামলা দায়ের করবেন দুই অভিযোগকারীর একজন। ভিডিও ফুটেজে ধর্ষণের দৃশ্য আছে কিনা-এ ব্যাপারে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তাই মুখ খোলেনি। তবে সাফাতের মোবাইল ফোন থেকে দুই অভিযোগকারীর সঙ্গে সেলফি তোলা অনেক ছবি উদ্ধার করেছে। সাফাতের সঙ্গে অভিযোগকারীর জড়িয়ে ধরার ছবি রয়েছে। ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, ভিডিও ফুটেজ ও ছবি উদ্ধারের বিষয়টি আইসিটি অ্যাক্টে মামলা দায়েরের পুলিশ গণমাধ্যম জানাবে।

এদিকে মামলার অন্যতম আসামি নাঈম আশরাফকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রিমান্ডের প্রথম দিনেই নাঈম এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। গত শনিবার রাতে মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নাঈমকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার মুখোমুখি করা হয় বিল্লাল ও সাফাতের দেহরক্ষী আজাদকে। তিনজনকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা।  সূত্র: কালের কণ্ঠ