ফুলবাড়ীয়ার ‘রাজাকার’ রিয়াজের রায় যেকোন দিন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ‘রাজাকার’ মো. রিয়াজ উদ্দিন ফকিরের (৬৫) বিরুদ্ধে মামলার রায় যেকোনো দিন ঘোষণা করা হবে।

বুধবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল উভয়পক্ষে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।

প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা সমকালকে এ তথ্য জানান।

‘রাজাকার’ রিয়াজ উদ্দিন ফকিরের মামলাটি হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৩২তম রায়। গত ১৩ মার্চ মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে ৩১তম মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ঋষিকেষ সাহা। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান।

প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা জানান, আসামির বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংয়োগ ও লুটপাটসহ পাঁচ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ মামলায় আসামি ছিলেন তিনজন। ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় আনার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন রিয়াজ উদ্দিন ফকির ও মো. আমজাদ আলী (৮৮)। তারা দুজনই ৮ আগস্ট গ্রেফতার হন। একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমজাদ। তাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিলের সময় তাকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এ ফরমাল চার্জ দাখিল করা হয়।
২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর এ মামলায় মো. রিয়াজ উদ্দিন ফকির ও তার ভাই মো. ওয়াজ উদ্দিনের (৭০) বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রিয়াজ ফকির বর্তমানে কারাগারে আর ওয়াজ উদ্দিন পলাতক অবস্থায় মারা যান। অভিযোগ গঠনের পর তার মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হলে ট্রাইব্যুনাল তার নামও বাদ দেয়।

ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ভালুকজান গ্রামের শহীদ তালেব মণ্ডলের ছেলে খোরশেদ আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, তার বাবা তালেব মণ্ডলকে আখিলা নদীর ব্রিজের ওপর দাঁড় করে গুলি করে হত্যা করেন থানা রাজাকার বাহিনীর প্রধান আমজাদ ও আলবদর বাহিনীর প্রধান রিয়াজ ফকিরের নেতৃত্বে ওয়াজ উদ্দিনসহ রাজাকাররা।

সমকাল