ফসলের জন্য আর্শীবাদ হয়ে ঝরছে বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দিনভর বৃষ্টি। কখনো গুড়ি গুড়ি। আবার কখনো থেমে থেমে। বৃষ্টির সঙ্গে ছিলো হালকা বাতাসও। এর ফলে অনেকটাই শীত অনুভুত হচ্ছে। আর দিনব্যাপি বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। তাদের জীবিকার তাগিদে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। তবে এই বৃষ্টিকে আর্শীবাদ বলেছেন কৃষিবিদরা।

রাজশাহীর আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র কারণে দিনভর বৃষ্টি ছিলো। এই বৃষ্টিপাতকে ভারিবর্ষণ ও নিম্নচাপ বলা হচ্ছে। বৃষ্টিময় আবহাওয়া আরো কয়েকদিন থাকবে। সঙ্গে থাকতে পারে দমকা থেকে মাঝারি ধরনের ঝড়ো হাওয়া।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম জানায়, বুধবার দিবগত রাত একটা থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে থেমে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ১৭ ঘণ্টায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী অঞ্চলে। রাত একটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত ১২ মিলিমিটার, সকাল ছয়টা থেকে ১০ পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল ছয়টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ১০০ শতাংশ ও সন্ধ্যা ছয়টা ৯৯ শতাংশ।

অন্যদিকে বেশ কিছুদিন বৃষ্টি না থাকায় বেশির ভাগ আমন ধানের খেত শুকিয়ে যায়। ফলে কৃষকদের জমির পানি সেচ দিতে হয়েছে। এই বৃষ্টিতে জমির বেশ উপকার হয়েছে। ফসলের জন্য আর্শীবাদ বলে জানান রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক দেব দুলাল ঢালী।

তিনি বলেন, এখন কিছু জমিতে শীতকালীন ফসল রয়েছে। এর মধ্যে লাল শাক, পালংক শাক, পাতাকপি, ফুলকপি, সিম, বরবটিসহ বিভিন্ন সবজি রয়েছে মাঠজুড়ে। সেগুলোর অনেক উপকার হলো বৃষ্টিতে।

এছাড়া সারাদিন বৃষ্টিতে ভিজে নগরীর বিনোদপুর ও আশেপাশের এলাকায় অটোরিকশা চালিয়েছেন ছোটন। তিনি বলেন, সারাদিন বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করতে হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে সড়কে লোক সংখ্যাও কম ছিলো। তবে মানুষের উপস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে পরিবহনও কম ছিলো।

নগরীর ভদ্রা এলাকায় কথা হয় সেলিম হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বৃষ্টি অনেক ভালো লাগে। কিন্তু সকালে বৃষ্টি হলে কোনো কাজ ঠিকমত হয় না। ৯টায় অফিস। তাই ঘুম থেকে উঠেছে সাতটার দিকে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বাড়ি থেকে বের হয়েছি পৌনে ৯টার দিকে।

এদিকে, ভারি বর্ষেণে রাজশাহী নগরীর কিছু রাস্তায় জমে যায় পানি। সেই পানি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি বলে জানায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক। তিনি বলেন, বৃষ্টির পরপরেই পানি নেমে গেছে।

 

স/আ