ফটোসাংবাদিক তোতার ভায়েরার বাড়িতে হিজড়াদের হামলা, চাঁদাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দৈনিক সোনার দেশের ফটোসাংবাদিক শরিফুল ইসলাম তোতার ভায়রার বাড়িতে চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে হিজড়ারা। এসময় হামলা চালিয়ে বাড়ির সদস্যদের আহত করে তারা। এছাড়া নগদ পাঁচ হাজার টাকাও জোর করে আদায় করে নিয়ে যায় হিজড়াদের ওই দলটি।

মঙ্গলবার দুপরে নগরীর কাজীহাটায় অবস্থিত জিল্লুর রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জিল্লুর রহমান সম্পর্কে ফটোসাংবাদিক শরিফুল ইসলাম তোতার ভায়রা হোন।

বাড়ির সদস্যরা জানান, দুপুর একটায় হিজড়াদের পাঁচজনের একটি দল কাজীহাটার ওই বাড়িতে এসে ঔরসের কথা বলে চাল চায়। এ সময় বাড়ির নারী সদস্যরা একটি পলিথিনে মুড়ে এক কেজি চাল দিলে তারা বড় বাটিতে করে বেশি করে চাল দিতে বলে। এসময় গেট খুলে দিতেও অনুরোধ করে তারা। বড় বাটিতে করে বেশি চাল নিয়ে গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে পাঁচজনের ওই দলটি ভেতরে ঢুকে চাল দিতে আসা নারী সদস্যদের গলা টিপে ধরে। এইসময় হিজড়ারা বলে, ‘ব্যাটার বিয়ে দিয়েছো, আর চাল দিচ্ছো।’ চাল বের করছি, ইত্যাদি বলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।

এসময় বাড়ির অন্য নারী সদস্যরা হাবিবুর রহমান নামে তাদের ছেলেকে ফোনে ডাকে। হাবিবুর রহমান এসে দেখেন, হিজড়ারা তাদের বাড়ির মা- বোনদের মারধর করছে।

হাবিবুর রহমান জানান, ওই অবস্থা দেখে তাদের কাছে অনুরোধ করে বলি, আপনাদের কী লাগবে, বলেন, আমি দিচ্ছি। আপনারে বাইরে আসেন। অনেক কাকুতি-মিনতির পর হিজড়ারা বাড়ির বাইরে আসে। এসে তাদের মধ্যেকার পাখি নামের এক হিজড়া তিন হাজার টাকা চায়। তখন আমি অনেক কষ্টেপৃষ্টে ধার করে তিন হাজার টাকা এনে তাদের দিই। তখন হিজড়াদের ওই গ্রুপের নেতা প্রীতি, পাখিকে গালি দিয়ে বলে, দালালি করছিস, তোর দালালি বের করছি, বলে, পাঁচ হাজার টাকা চায়। এরপর পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে তবে গেছে হিজড়ারা।

ফটোসাংবাদিক শরিফুল ইসলাম বলেন, ওই গ্রুপটা বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে টাকা ছিনতাই করে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকায় পাখি, মাহী, রুবীনা, প্রীতি ও পিয়ারুল নামের এই গ্রুপটা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে। এদের গুরু হচ্ছে সেলিনা। এতে সহযোগিতা করে মহল্লার কাজি ও ক্লিনিকগুলো। কারণ তারাই কমিশনের বিনিময়ে ঠিকানা দেয় বিবাহিত মানুষ ও সন্তান জন্মদান পরিবারের।

অনেক হিজড়া অভিযোগ করে জানায়, আমরাও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করি। কিন্তু কোথাও কোনো খারাপ আচরণ করিনা। যে যা পারে দেয়, তাই নিই। অথচ এই হিজড়া রীতিমত চাঁদাবাজি করে। অনেক জায়গায় তাদের নামে ছিনতাইয়েরও অভিযোগ রয়েছে।

স/শ