প্রেসার-হার্টবিট কমে গেছে কবি আল মাহমুদের, দোয়া চেয়েছে পরিবার

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গুরুতর অসুস্থ হয়ে আইসিইউতে ভর্তি থাকা কবি আল মাহমুদের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার প্রেসার ও হার্টবিট কমে গেছে । এ বিষয়ে চিকিৎসকের একটু পরে ব্রিফ করবেন।

কবির পরিবার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কবির ছোট ছেলে মীর আনিস দেশবাসীর কাছে তার বাবার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া চেয়েছেন।

আল মাহমুদকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত শনিবার রাতে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে সিসিইউ’তে রাখা হয়েও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় রাত ৪টার দিকে চিকিৎসকেরা তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তিনি ইবনে সিনার নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আবদুল হাইয়ের তত্ত্বাবধানে আছেন।

দেশবরেণ্য এই কবি নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত বেশকিছু রোগে ভুগছেন। তার কিডনি ও লিভারে আগেই থেকে ইনফেকশন ছিল।

কবি আল মাহমুদের সহকারী আবিদ আজম বলেন, খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় শনিবার সন্ধ্যায় তাকে ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে আনা হয়।

এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ কথা জানিয়ে তিনি সোনালি কাবিনখ্যাত এ কবির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৮২ বছর বয়স্ক আল মাহমুদ।

আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি।

তিনি একাধারে একজন কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্ম তার।

বাবা-মায়ের দেয়া নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ।তবে বাংলা সাহিত্যে আল মাহমুদ নামেই তিনি পরিচিত।

সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৬৮ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান তিনি। পেয়েছেন একুশে পদকসহ অনেক সম্মাননা।

১৯৬৩ সালে তার কাব্যগ্রন্থ লোক লোকান্তর সর্বপ্রথম তাকে স্বনামধন্য কবিদের সারিতে জায়গা করে দেয়।

কালের কলস, সোনালি কাবিন ও মায়াবী পর্দা দুলে উঠো কাব্যগ্রন্থগুলো বাংলা সাহিত্যে তার অমরকীর্তি।

১৯৫৪ সালে কবি আল মাহমুদ দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডারের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালে তিনি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং যুদ্ধের পর দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।