প্রাণের ব্রেডের মধ্যে জ্যান্ত কেঁচো

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

প্রাণ কোম্পানির অলটাইম ব্রান্ডের একটি ব্রেডের (পাউরুটি) মধ্যে থেকে একটি জ্যান্ত কেঁচো পেয়েছেন হবিগঞ্জের সৈয়দ ফরিদ আহমেদ নামের এক ব্যক্তি।

ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার হবিগঞ্জ শহরের বাইপাস রোডের আনোয়ারপুর এলাকায়।

দোকান থেকে প্রাণ কোম্পানির অলটাইম ব্রান্ডের একটি ব্রেড(পাউরুটি) কিনেছিলেন সৈয়দ ফরিদ আহমেদ। দোকানে বসে অন্যান্য দিনের মতো সেই ব্রেড দিয়ে বিকালের নাস্তা করতে বসেন।

প্যাকেট খুলে ব্রেডটি মুখে দেয়ার পরই টের পান অস্বাভাবিক কিছু একটার উপস্থিতি। হাতে থাকা বাকি অংশ ভালো করে দেখেন জ্যান্ত একটি কেঁচো নড়াচড়া করছে ব্রেডের মধ্যে!

সৈয়দ ফরিদ আহমেদ বলেন, আমি প্লাস্টিক ডোর এসএএম পলিমারের হবিগঞ্জের ডিলার। আনোয়ারপুরে আমার দোকান। গত শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে দোকানে বসেছিলাম বন্ধু সুমনের সঙ্গে।

তিনি বলেন, বিকাল বেলা সাধারণত বন(ব্রেড) বা এরকম কিছু খাই। বেশিরভাগ সময়ই অলটাইম বন কিনে নিই। ওই দিন পাশের পঙ্কিরাজ স্টোর নামক একটা দোকান থেকে দুটি অলটাইম কিনি। সুমনকে একটা দিয়ে আমি একটা খাওয়া শুরু করি।

ফরিদ বলেন, প্যাকেট খুলে আর তাকাইনি। একটু মুখে দিয়েই আমার কেমন যেন লাগলো। অন্যরকম স্বাদ। তখন হাতে থাকা বাকি অংশ বনের দিকে তাকালাম। দেখি সাপের বাচ্চার মতো কী যেন নড়াচড়া করছে।

‘ভয়ে আর ঘেন্নায় এক ঝটকায় হাতের বনটি ছুঁড়ে ফেললাম। সুমন এগিয়ে গিয়ে দেখল ব্রেডের মধ্যে একটা কেঁচো নড়ছে! এটা শুনে সঙ্গে সঙ্গেই বমি শুরু হলো আমার। একটানা অনেকক্ষণ বমি হয়।’

‘এক পর্যায়ে দুর্বল হয়ে কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি। লোক জড়ো হলে তারা মনে করেছিলেন, আমি অজ্ঞান হয়ে গেছি। তারাই আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার পেট ওয়াশ করে কিছু ওষুধ দিয়েছেন। এখন সুস্থ আছি।’

ফরিদ জানান, তখন দোকানদার মোহাম্মদ জামাল মিয়াকে ডেকে অন্যরা বকাঝকা করেন। এরপর পরিচিত এক সাংবাদিক ভাইকে বিষয়টা বলি।

তিনি জানান, তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে। থাকেন জেলা শহরেই।

ফরিদ আরও জানান, ঘটনার পরই জামাল উদ্দিন ব্রেডটি নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রাণ কোম্পানির ডিস্টিবিউটরদেরকে বিষয়টি দেখানোর জন্য।

‘ওই দিনের ঘটনা মনে হলে এখন গা ঘিন ঘিন ওঠে’, বললেন এই ভুক্তভোগী।