প্রধানমন্ত্রীর সামনে পরীক্ষায় পাস দেশের ‘প্রথম’ রোবট মানুষ টিভেট

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সোফিয়ার চেয়ে কম যায়নি দেশের ‘প্রথম’ রোবট মানুষ মি. টিভেট।

শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে সপ্রতিভ ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই রোবট । ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ঘুরে যাওয়া বিশ্বের প্রথম রোবট নাগরিক সোফিয়ার মতোই প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নগুলোর চটপট উত্তর দিয়েছে সে।

এদিন ঢাকায় আইডিইবির ২২তম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখোমুখি হয় টিভেট। কেমন ছিল সে প্রশ্নোত্তর?

প্রধানমন্ত্রী : তোমার নাম কি?

রোবট টিভেট : আমার নাম টিভেট।

প্রধানমন্ত্রী : তুমি বাংলা জান?

রোবট টিভেট : হ্যা, আমি অল্প অল্প বাংলা জানি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। আমি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানছি।

প্রধানমন্ত্রী : তুমি কেমন আছো?

রোবট টিভেট : আমি ভাল আছি?

প্রধানমন্ত্রী : জাতির পিতা কে?

রোবট টিভেট : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালি জাতির পিতা। তিনি বাঙালি রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রধান অনুপ্রেরণা।

এই ছিল প্রধানমন্ত্রী ও রোবট টিভেটের আলাপ।

ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের সহযোগিতায় এর আইসিটি এবং ইনোভেশনের সেলের তত্ত্বাবধানে ডেভেলমেন্ট করা হয়েছে মি. টিভেটকে।

ঢাকা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ফরিদ হোসেন এবং রাহাদ উদ্দিন এর ডেভেলপমেন্টের নেতৃত্বে ছিলেন।

মি. টিভেট নিজে নিজে মানুষের সাথে কথা বলতে পারে এবং মানুষের মুখে নির্দেশ শুনে কাজ করতে পারে।

টিভেটের ৪২ রকমের শারীরিক এক্সপ্রেশন করার ক্ষমতা রয়েছে। তাই সে শরীরকে বিভিন্নভাবে নাড়াতে পারে। কথা বলার সময় মানুষের মুখের মতোই মুখ নড়াচড়া করে।

চোখে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির থ্রিডি ক্যামেরা যার সাহায্যে সে সহজে সামনে থাকা কোনো বস্তুকে দেখে তার গতিবিধি নির্ধারণ করতে পারে । টিভেট এখন ৫০০ গ্রাম ওজনের যেকোনো বস্তু বহন করতে সক্ষম।

সে তার সামনে থাকা কোনো বস্তু বা মানুষকে দেখে তার স্মৃতিও সংরক্ষণ করতে পারে।

দেশের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্র্যান্ডিং হিসেবে রোবটটির নামকরণ করা মি. টিভেট। ‘টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেইনিং’ হতে টিভেট।