প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজশাহী রিভারসিটি প্রকল্পের বরাদ্দ চাইলেন আরইউজে সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে রাজশাহীর সাংবাদিকদের জন্য ৫০টি প্লট চেয়েছে আরইউজে সভাপতি রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘রাজশাহীতে যেসকল পেশাদার সাংবাদিক কর্মরত আছে তাদের জন্য আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হবে।’

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৯৬ থেকে ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় রাজশাহীর সাংবাদিকদের জন্য ভবন নির্মাণে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজশাহীর সাংবাদিক নেতাদের ব্যর্থতায় সেই টাকাটি ব্যবহার করা যায়নি। এমনকি রাজশাহীর সাংবাদিকদের জন্য দেড় বিঘা পরিমাণ একটি জমি বরাদ্দ থাকলেও সেটাও ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।’

তিনি বলেন. ‘রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের নামে ওই টাকাটি আবারও বরাদ্দ দিলে আমরা স্থায়ী ভবন গড়ে তুলবো। সকল সাংবাদিকদের বসার মতো যায়গা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রীনসিটি, ক্লিনসিটি রাজশাহী শহরের বাসিন্দা হয়ে আমরা গর্বিত। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে রাজশাহীকে অপরুপ সাজে সাজিয়ে তোলার কারিগর রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বেশ কয়েকটি বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এর মধ্যে নগর সম্প্রসারণ ও রিভার সিটি প্রকল্প অন্যতম। রিভারসিটিতে সোলারের মাধ্যমেই ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনও সম্ভব হবে। যা নগরীর বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে। এ দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রাজশাহী পরিণত হবে এশিয়ার সবচেয়ে সৌন্দর্যেরে শহরে। এই শহর দেখতে ছুটে আসবে দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নে আপনার সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।’

সরকার প্রধানের প্রশংসা করে আরইউজে সভাপতি বলেন, ‘আপনি সারাদেশের উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে আপনার এ পরিশ্রমের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবরারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আপনার উন্নয়নের ছোঁয়া রাজশাহীর মাটিতেও বিরাজমান। আপনার সময়েই একসঙ্গে সর্বোচ্চ তিন হাজার কোটি টাকা উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ পাওয়ায় রেশম নগরী রাজশাহী এখন সারা দেশের মধ্যে স্যেন্দৌর্যের একটি অন্যতম নগরীতে পরিণত হয়েছে। আপনার দেখানো পথ ধরে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনও এ নগরীকে ঢেলে সাজাতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।’

 

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনার প্রতি আমরা রাজশাহীর সাংবাদিকরাও কৃতজ্ঞ। করোনাকালীন যখন সাংবাদিকরা প্রায় বেকার হয়ে পড়েছিল, তখনোই আপনি সারা দেশের সাংবাদিকদের পাশে মমতার দুহাত বাড়িয়ে দেন। রাজশাহীর সাংবাদিকরা চার দফায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা সহযোগিতা পেয়েছেন। এর বাইরে আপনার প্রতিষ্ঠিত কল্যাণ তহবিল থেকে গত তিন বছরে রাজশাহীর অন্তত দেড়শ সাংবাদিক প্রায় দেড় কোটি টাকা সহযোগিতা পেয়েছেন। যা রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন গঠনের পর থেকে সবমিলিয়েও এতো টাকা পাওয়া যায়নি। আপনার অনুদানের অর্থে এখন অসহায় সাংবাদিক নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা করাতে পারছেন। আবার যেসব সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করছেন, তাঁদের পরিবারের কালোমেঘ কাটাতে সহায়তা করছে এককালীণ এই অনুদান।’

বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। প্রতিনিধি সম্মেলনে সঞ্চালনা করছেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দ্বীপ আজাদ। প্রতিনিধি সম্মেলনে বিভিন্ন সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

এরপর বিকেল ৩টায় একই স্থানে দেশের সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।