প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে দুর্নীতি; ঘটনাস্থলে প্রতিমন্ত্রী

মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরির পর জানাজানি হলে ভেঙে ফেলার পর বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। এ সময় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, উপসচিব ও প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মুশফিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অঞ্জন কুমার সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গাজীপুরের জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। গাজীপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামানকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুন সরদার ও গাজীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বারেক মিয়া।

কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী এলাকায় পৌঁছান। ওই স্থানে নির্মানাধীন ৬০টি ঘর ভেঙে ফেলা হয়। পরে ওই স্থানে নতুন করে ঘর নির্মাণ শুরু হয়। পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী নতুন ঘরের কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী কালের কণ্ঠকে জানান, গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর তৈরিতে অনিয়ম এবং তা ভেঙে ফেলার সংবাদ কালের কণ্ঠে প্রকাশ হলে বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে। তার পর তিনি বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। বাস্তবতা দেখতে ঘটনাস্থলে এসে তিনি অনিয়মের সত্যতা পেয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার জেলা প্রশাসক তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘর তৈরিতে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। এর সাথে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর ইমেজ জড়িত। এ ধরনের অনিয়মে যাদের নাম আসবে তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২০২১ ডিসেম্বর মাসে গাজীপুরে সদর উপজেলায় ১৬০টি ঘর নির্মাণ শুরু হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্তাবধানে শুরু হওয়া কাজে শুরুতেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ এবং ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে গত ৮-৯ দিন আগে ভেঙে ফেলা হয় সব ঘর। এ নিয়ে গত ১০ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতা সংবাদ প্রকাশিত হয়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ