প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ডিআরইউতে থাইরয়েড গ্রন্থির স্ক্রিনিং ক্যাম্প

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সদস্য ও পরিবারদের জন্য থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যাজনিত স্ক্রিনিং ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ডিআরইউর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই বিশেষ ক্যাম্প চলে। এতে ডিআরইউর সদস্য ও পরিবারের প্রায় দেড় শ জন অংশ নেন। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যাজনিত স্ক্রিনিং ক্যাম্পে যারা সেবা নিয়েছেন, তাদের রির্পোটের মাত্রা যদি ঝুঁকিপূর্ণ হয়।

তাহলে পরবর্তীতে তাদেরকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।
ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে এবং কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. শাহজাদা সেলিম। এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউর সহকারী অধ্যাপক ড. মারুফা মোস্তারী, ডিআরইউর সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম। এ সময় আরো উপস্থিতি ছিলেন দপ্তর সম্পাদক কাওসার আজম, নারী বিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম মনি সেঁজুতি, কার্যনির্বাহী সদস্য কিরণ শেখ, এস এম মোস্তাফিজুর রহমান সুমন প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বক্তব্য ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ‘থাইরয়েড হরমোনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে স্নায়ুর পরিপক্বতা। এজন্য গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড হরমোনের স্বল্পতায় গর্ভের বাচ্চা বুদ্ধিদীপ্ত হয় না। যেসব উদ্দীপনায় বিপাক ক্রিয়া বেড়ে যায় যেমন- যৌবনপ্রাপ্তি, গর্ভাবস্থা, শরীরবৃত্তীয় কোনো চাপ ইত্যাদি কারণে থাইরয়েড গ্লান্ডের আকারগত বা কার্যকারিতায় পরিবর্তন হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘থাইরয়েড হলো গলার দুই পাশে থাকা একটি বিশেষ গ্রন্থি।

এই গ্রন্থির কাজ হলো, আমাদের শরীরের কিছু অত্যাবশ্যকীয় হরমোন (থাইরয়েড হরমোন) উৎপাদন করা। শরীরের জন্য এ থাইরয়েড হরমোনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলেই শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে।’
থাইরয়েড হরমোন কম উৎপন্ন হলে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিসম এবং বেশি উৎপন্ন হলে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম উল্লেখ করে শাহাজাদা সেলিম আরো বলেন, ‘থাইরয়েড হলে শরীরে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। আপনার শরীরে যদি এসব লক্ষণের কোনোটা দেখতে পান তবে বুঝবেন, থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন।

ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী বলেন, ‘খায়রয়েড স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় জনগণকে সচেতন করতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আর এই রোগ বিদায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত সহজভাবে গণমাধ্যমে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন করতে পারে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ