প্রতিবেশী পোষা কুকুরকে ডাকেন স্ত্রীর নামে, যা করলেন ক্ষুব্ধ স্বামী

স্বামী, দুই সন্তান আর পোষা কুকুর সনুকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল ৩৫ বছর বয়সী এক নারীর। কিন্তু গোল বাঁধল তার প্রিয় কুকুরটির নাম নিয়ে। কারণ কাকতালীয়ভাবে তাদের প্রতিবেশী যুবকের স্ত্রীর নামও সনু।

নিজের স্ত্রীর নামে প্রতিবেশী কুকুরকে ডাকেন, তা মোটেও সহ্য হচ্ছিল না ওই যুবকের। তাই অপমানের বদলা নিতে মোক্ষম আঘাত হানলেন ওই যুবক। ওই নারীকে রীতিমতো খুন করার চেষ্টা করলেন তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গুজরাটের ভাবনগরের বাসিন্দা নীতাবেন তার পোষা কুকুরকে আদর করে ডাকতেন সনু নামে। তার প্রতিবেশী সুরাভাই ভারওয়াদের স্ত্রীর ডাকনামও সনু।

স্থানীয় সময় সোমবার বিকালে  নীতাবেনের স্বামী এবং বড় ছেলে বাড়িতে ছিলেন না। ছোট ছেলে এবং পোষা কুকুরটিকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন নীতাবেন। সেই সময় সুরাভাই আরও পাঁচ জনকে সঙ্গে নিয়ে নীতাবেনের বাড়িতে গিয়ে তাকে তার পোষ্য কুকুরের নাম বদলের কথা বলেন। কিন্তু নীতেবেন তাতে রাজি না হওয়ায় দুপক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় সুরাভাই অভিযোগ করেন যে, নীতবেন ইচ্ছা করে তার কুকুরের নাম সনু রেখেছেন। এরপর নীতবেন রান্নাঘরে গেলে তিন জন তাকে অনুসরণ করে সেখানে যান। এক জন তার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর তারা সেখান থেকে পালিয়ে যান।

নীতবেনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। এ সময় তার স্বামীও বাড়িতে পৌঁছান। স্বামীর গায়ে থাকা কোট দিয়ে নীতবেনের শরীরের আগুন নেভানো হয়।
এরপর নীতবেনকে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এদিকে, সুরাভাই ও বাকি পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা, অনুমতি ছাড়া কারো বাড়িতে প্রবেশ, সম্মানহানিসহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

 

সূত্রঃ যুগান্তর