প্রতিবাদী সেরেনার পাশে বিলি জিন কিং

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ইউএস ওপেনের নারী এককের ফাইনালে জাপানের নাওমি ওসাকার কাছে হেরেও আলোচনার কেন্দ্রে সেরেনা উইলিয়ামস। ম্যাচজুড়ে চেয়ার আম্পায়ার কার্লোস রামোসের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা ও লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগে তোলপাড় গোটা টেনিসবিশ্ব।

আম্পায়ার রামোসকে সরাসরি চোর ও মিথ্যাবাদী বলার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগ তুলে জরিমানার কবলে পড়লেও সবার সমর্থন পাচ্ছেন ২৩টি গ্র্যান্ডস্লামজয়ী সেরেনা।

আচরণবিধি ভঙ্গের ভিন্ন তিনটি অভিযোগে সব মিলিয়ে তাকে ১৭ হাজার ডলার জরিমানা করেছে ইউএস টেনিস অ্যাসোসিয়েশন। এর মধ্যে আম্পায়ারকে অপদস্ত করার অভিযোগে জরিমানার অঙ্কটা ১০ হাজার ডলার।

তবে এ বিতর্কে সেরেনার সমর্থকদের পাল্লাই ভারি। টেনিসে আজও পুরুষ ও নারী খেলোয়াড়দের যে সমান চোখে দেখা হয় না, সেই দ্বিচারিতার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসায় বাহবা পাচ্ছেন ৩৬ বছর বয়সী মার্কিন কৃষ্ণকলি।

শনিবারের ফাইনালে হতাশায় কোর্টে র‌্যাকেট ছুড়ে মারার ঘটনায় সেরেনার পয়েন্ট কেটে নিয়েছিলেন আম্পায়ার। পরে একটি গেমও পেনাল্টি করেন। এর আগে গ্যালারিতে বসা কোচের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে নির্দেশনা নেয়ার অভিযোগে সেরেনাকে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছিলেন রামোস।

র‌্যাকেট ছুড়ে মারা বা গ্যালারিতে থাকা কোচের কাছ থেকে গোপন নির্দেশনা নেয়ার ঘটনা হরহামেশাই ঘটান পুরুষ খেলোয়াড়রা। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে সাধারণত তাদের শাস্তি হয় না।

সেরেনার অভিযোগ, শুধু নারী খেলোয়াড় হওয়ায় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন তিনি। প্রতিবাদী সেরেনাকে সমর্থন জানিয়ে টেনিস কোর্টে লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

নেয়ার কথা জানিয়েছেন মেয়েদের টেনিসের সর্বোচ্চ সংস্থা ডব্লুটির প্রধান নির্বাহী স্টিভ সিমন। মার্কিন টেনিস কিংবদন্তি বিলি জিন কিংও টুইটারে সেরেনাকে সমর্থন জানিয়ে লিখেছেন, ‘যখন একজন নারী আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে, তখন বিকারগ্রস্ত বলে তাকে শাস্তি দেয়া হয়। কিন্তু পুরুষরা একই কাজ করলে বলা হয় সাহসী। তার কোনো শাস্তিও হয় না। এটা পরিষ্কার দ্বিচারিতা। বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ সেরেনা উইলিয়ামস।’