প্রতিবন্ধী কোটায় ইবি ছাত্রলীগ নেতার ভর্তি: সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি

ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির মাহফুজ মাসুদের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী না হয়ে প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বুধবার তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, তৌকির মাহফুজ ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে ইংরেজি বিভাগে শ্রবণ প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই সময় যাচাই বাছায়ের মাধ্যমে তাকে ভর্তি করে। সম্প্রতিকালে শ্রবণ প্রতিবন্ধী না হয়েও তিনি শ্রবণ প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তিনি নয় বছরে তার অনার্স (সম্মান) কোর্স শেষ করতে পারেন নাই।

রেজিস্ট্রার অফিস সূত্র জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে ২৭ নভেম্বর (বুধবার) কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সরওয়ার মুর্শেদকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- ইংরেজি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সালমা সুলতানা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) এ কে আজাদ লাভলু।

বিষয়টি নিয়ে শিশির ইসলাম বাবু, মিজানুর রহমান লালন, ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও তৌকির মাহফুজ মাসুদসহ ১০-১২ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো: শাহিনুর রহমানের (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি) সাথে দেখা করেন। এসময় তারা এ পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ যত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সকলের জন্য তদন্ত কমিটি করার দাবি জানান। একইসাথে তারা মাসুদের জন্য গঠিত কমিটির কার্যক্রম ভিসি আমেরিকা সফর থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে তৌকির মাহফুজ মাসুদ বলেছেন, ‘তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা আগে কেন জানানো হয়নি। এখন একটি গ্রুপ আমাকে হেয় করার জন্য এসব কাজ করছে।’

উল্লেখ্য, তৌকির মাহফুজ মাসুদ ২০১৪ সালের সাইফুল-অমিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন। এছাড়াও তিনি বর্তমান ইবি শাখা ছাত্রলীগে পদ বঞ্চিত নেতাদের মিছিল, মিটিংয়ে অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

স/অ