প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অশোক গহলৌত ও শশী থারুরের নাম

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে গান্ধী পরিবারের কারো নাম এখনো শোনা যাচ্ছে না। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অশোক গহলৌত ও শশী থারুরের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে সর্বসম্মতিক্রমে রাহুল গান্ধীকে সভাপতি নির্বাচিত করার সম্ভাবনা শেষ পর্যন্ত থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আগামী ১৭ অক্টোবরের এ গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন সামনে রেখে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এবং কংগ্রেসের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শশী থারুর মনোনয়ন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন।

ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল কংগ্রেস গত ২০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম বড় পরিসরে নির্বাচনপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সভাপতি পদে কাউকে বেছে নিতে যাচ্ছে। তবে এবারের নির্বাচন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই নির্বাচনের মাধ্যমে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব গান্ধী পরিবারের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমে জোরালো হচ্ছে। গান্ধী পরিবারের দৃশ্যমান অনাগ্রহ এর অন্যতম কারণ।

এর আগে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি (এআইসিসি) জানিয়েছিল, ২২ সেপ্টেম্বর (আগামীকাল) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আগামী ১৭ অক্টোবর হবে ভোটগ্রহণ । ভোট গণনা হবে ১৯ অক্টোবর। এর পরই আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতির নাম জানা যাবে।

খবরে আরো বলা হয়, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা অশোক গহলৌত আগামী সোমবার মনোনয়ন জমা দেবেন। ৭১ বছর বয়সী এই নেতা রাজস্থানের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে শশী থারুর গত সোমবার দলের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তিনি সোনিয়ার অনুমতি চান। অনুমতি পাওয়ার পর মনোনয়ন জমা দেবেন শশী থারুর।

কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত সভাপতি বেছে নিতে নির্বাচনপ্রক্রিয়ার মধ্যে অবিচল থাকলে এই পদের লড়াই হবে গহলৌত ও থারুরের মধ্যে। কিন্তু বিভিন্ন প্রদেশ কংগ্রেসের অনেকগুলো কমিটি সভাপতি হিসেবে রাহুল গান্ধীর নাম অনুমোদন করেছে। এ জন্য রাহুলকে সর্বসম্মতির ভিত্তিতে সভাপতি পদে আনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই সম্ভাবনার কারণ হচ্ছে, দলটির মধ্যে এখনো গান্ধী পরিবারের প্রতি অনুগতদের আধিপত্য রয়েছে।

গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের পর দলের সভাপতির পদ ছাড়েন রাহুল গান্ধী। এরপর অন্তর্বর্তী দায়িত্ব নেন সোনিয়া। কিন্তু কিছুদিন পর দলের কর্মপদ্ধতি ও স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার হন দলটির ২৩ জন সংস্কারপন্থী নেতা যারা ‘জি-২৩’ বলে পরিচিতি পান। এই গোষ্ঠীর মধ্যে কপিল সিব্বাল, জিতিন প্রসাদ ও গোলাম নবী আজাদ এরই মধ্যে দলত্যাগ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজয় এবং দলের সাংগঠনিক স্থবিরতা কাটানোর উদ্দেশ্যেই কংগ্রেস স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের পথে হেঁটেছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ