পৌষের আগে রাজশাহীতে শীতের দাপট

নিজস্ব প্রতিবেদক:


দেখা মেলেনি সূর্যের। কয়েকদিন থেকে রাজশাহীতে বেড়েছে শীত। সঙ্গে পড়ছে ঘন কুয়াশা। আবহাওয়া অফিস বলছে- অগ্রাহায়ণ মাস শেষ পান্তে। সামনে পৌষ, সাধারণত পৌষ-মাঘ মাসে দেশে শীতকাল। দিন দিন তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে শীতও।



রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, আজ শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বৃস্পতিবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৬ ডিগ্রি। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২০ ডিগ্রি সিলসিয়াম। সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ১০০ শতাংশ ও সন্ধ্যায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯১ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, এখন প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। তবে দিনের তুলনায় রাতে তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে বাড়বে শীত।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সারাদিন দেখা মেলেনি সূর্যের। বেলা ১১টার দিকে নগরীর সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া শীতের কারণে নি¤œ আয়ের মানুষগুলোকে পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে। তাদের শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে বের হতে হয়েছে।

সকাল ৮টার দিকে নগরীর বিনোদপুর, গোরহাঙ্গা রেলগেট এলাকায় শ্রমিকদের কাজের সন্ধানে এসে বসে থাকতে দেখা গেছে।

আশরাফ আলী নামের এক শ্রমিক জানায়, তারা প্রতিদিন এখানে কাজের সন্ধানে আসেন। এখন থেকে তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজে যান। তিনি আরও জানান, গত কয়েকদিন থেকে বেশ শীত পড়ছে। সকালের দিকে প্রচুর কুয়াশা পড়ছে। কাজে না বের হয়ে উপায় কী? বসে থাকলে তোর আর খেতে পাওয়া যায় না। তাই খুব সকালে তারা এখানে বসে থাকেন কাজের সন্ধানে। যাদের শ্রমিক প্রয়োজন তারা ডেকে নিয়ে যায়।

অন্যদিকে শীতের হিমেল বাতাসে বেকায়দায় পড়েছে রিক্সা-ভ্যান চালকরাও। তাদের যানবাহন খোলা মেলা হওয়ায়, চালকদের শরীরে সরাসরি বাতাস লাগে।

করিম নামের এক রিক্সা চালক জানায়, শীতের সময় সারাদিনই কুয়াশা পড়ে। রিক্সা চালালে বাতাসে শীত লাগে। উপাই নেই, অন্য কোনো কাজ শিখিনি যে করে খাবো। কি শীত, কি বর্ষা, চাকা ঘুরলে টাকা উপার্জন হয়, না হলে নাই।

এদিকে, শীত বাড়ায় গরম পোশাকের বেচাকেনা বেড়েছে। নগরীর বাজারগুলোতে শীতের পোশাক ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভীড় ফুটপাতের দোকানগুলোতে।

নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে শীতের পোশাক বিক্রির অস্থায়ী দোকান বসেছে। এই দোকানগুলোতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষদের শীতের পোশাক কিনতে দেখা গেছে। এছাড়া গণকপাড়ার মার্কেটে শীতের বিভিন্ন পোশাক কিনতে দেখা গেছে। সোয়েটার, কম্বলসহ গরম পোশাক বিক্রেতা রবিন জানায়, গত কয়েকদিনের তুলনায় ক্রেতার উপস্থিতি বেড়েছে। তাই বেড়েছে বেচা-বিক্রিও।

স/আ