বিশ্বকাপের ব্যর্থতার মিশন শেষ করে দেশে এসেছে বাংলাদেশ। নয় ম্যাচে মাত্র দুই জয়, সেইসঙ্গে বহু হিসেব-নিকেশ শেষ করে ৮ম হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন। প্রাপ্তির খাতায় যে গল্প জমা হয়েছে, তাতেও মিশে আছে বড় রকমের লজ্জা। একমাসের লম্বা সফর শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা এখন আছে ছুটিতে। চলছে দলের সাফল্য ব্যর্থতার বিশ্লেষণ। আর সেই ব্যর্থতার গল্পে বড় একটা অংশ জুড়ে আছে পেস বোলিং ইউনিট।
কিন্তু লিগ পর্ব শেষে পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক চিত্র। সাদামাটা নিরীহদর্শন বোলিং বাংলাদেশকে পুরো আসরে বারবার হতাশা উপহার দিয়েছে। প্রতিপক্ষকে অলআউট করা ছিল রীতিমত স্বপ্নের। এমনকি আফগানিস্তান এবং নেদারল্যান্ডস ম্যাচ বাদ দিলে কখনোই সেই অর্থে প্রতিপক্ষকে চাপেই ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ।
পেস বোলিং নিয়েই শুরু করা যাক। বিশ্বকাপের ৯ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পেসাররা নিয়েছেন সবমিলিয়ে মাত্র ২৬ উইকেট। বাংলাদেশের পেছনে আছে শুধুই আফগানিস্তান। তাদের উইকেট ২১। যদিও পরিসংখ্যানের হিসেবে আফগানিস্তানের নিচেই থাকতে হচ্ছে টাইগার বোলারদের।
বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান ছাড়া বিশ্বকাপে বাকি সব দেশের পেসাররাই নিয়েছেন কমপক্ষে ৪০ উইকেট। অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের পেসাররা পেয়েছেন ৪০ উইকেট। ৪১ উইকেট শ্রীলঙ্কান পেসারদের আর ৪২ উইকেট ইংলিশ পেসারদের। ৫৩ টি করে উইকেট পেয়েছেন পাকিস্তান এবং ভারতের বোলাররা। যদিও ভারতের পেসাররা উইকেটপ্রতি খরচ করেছেন মাত্র ১৮.৭৭ রান। যেখানে পাকিস্তানের পেসাররা খরচ করেছেন ২৯ এর বেশি।
সবচেয়ে বেশি ৬০ উইকেট পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাটে বলে দাপট দেখানো প্রোটিয়ারা তাদের পেস বিভাগের সুবাদে এগিয়ে আছে অনেকটা। উইকেটপ্রতি রান দেওয়ার বেলাতেও তারা আছে তালিকার দুইয়ে। প্রতি উইকেটের জন্য ২৫.৫৬ রান খরচ করতে হয়েছে তাদের।