পুলিশ গুলিও খেয়েছে, চাপাতির কোপও খেয়েছে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় ৩৩ নম্বর হাউজিংয়ের ৩৪ নম্বর বাড়িতে অভিযান পরিচালনার সময় পুলিশের তিন কর্মকর্তা গুলি ও চাপাতির কোপে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

 

শুক্রবার রাতে রাজধানীর পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ কর্মকর্তাদের দেখে ফেরার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর (মুরাদ) কাছে পিস্তল ছিল, তাঁর কাছে চাপাতি ছিল এবং গ্রেনেডও ছিল। সে গ্রেনেডও নিক্ষেপ করেছে, গুলিও করেছে, চাপাতি দিয়ে কোপও দিয়েছে। এই পুলিশ সদস্যরা গুলিও খেয়েছে, চাপাতির কোপও খেয়েছে।’

আহত পুলিশ সদস্যদের দেশের ভিতরে রেখে চিকিৎসা সম্ভব না কি দেশের বাইরে নিতে হবে—এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এইটার প্রয়োজন হলে আমরা তাঁদের (আহত পুলিশ কর্মকর্তাদের) বিদেশে পাঠাবো।’

রূপনগরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় উল্লিখিত বাড়িতে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ অভিযানে ‘জঙ্গি’ জাহাঙ্গির ওরফে মেজর মুরাদ ওরফে ওমর নিহত হয়েছেন।

নিহত মেজর মুরাদ গুলশানের হামলার ‘হোতা’ নিহত তামিম আহমেদ চৌধুরীর ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ।

এ অভিযান প্রসঙ্গে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আজকে (শুক্রবার) রাতে সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টার মধ্যে এখানে (রূপনগরে ওই বাড়িটিতে) একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে রূপনগর থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে।’

জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সামরিক প্রশিক্ষক মেজর মুরাদকে ধরতে গেলে তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে জানান মোখলেছুর রহমান।

শুক্রবার অভিযানের সময় বাহিনিটির তিন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। আহত তিন কর্মকর্তা হলেন- রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ শহীদ আলম, পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীন ফকির ও উপপরিদর্শক (এসআই) মমিনুল ইসলাম। আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মো. মারুফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের অভিযানে নিহত ‘জঙ্গি’ জাহাঙ্গির ওরফে মেজর মুরাদ ওরফে ওমর গত ১ জুলাই পরিবারসহ ওই বাড়ির ষষ্ঠ তলার তিন রুমের ফ্লাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন আগে তিনি তাঁর পরিবারকে এ বাসার বাইরে অন্য কোথাও রেখে আসেন। আর অভিযানের সময় মুরাদ একাই ওই ফ্লাটে ছিলেন।

সূত্র: এনটিভি