পুলিশের সঙ্গে সমঝোতার কথা ভিত্তিহীন: বাবুল আক্তার

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: মিতু হত্যার সঙ্গে তার স্বামী বাবুল আক্তার জড়িত। তিনি জেনেশুনেই চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। পুলিশ বিভাগও বিষয়টি জানে। তারপরও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না।’ শ্বশুর মোশাররফ হোসেনের এমন অভিযোগের বিষয়ে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে সমঝোতার কথা ভিত্তিহীন।’ রবিবার (৪ জুন) রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে এ কথা বলেন।
এর আগে তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য নারীর সঙ্গে বাবুল আক্তারের প্রেম ও তার জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। এ বিষয়ে বাবুল আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার শ্বশুর অনেক বয়স্ক মানুষ। তার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, আমি যখন তার বাসা থেকে চলে এলাম, তখন থেকেই তিনি আমার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। কেন বলছেন, তা আমি আগেই বলেছি। তিনি শুরুতে আমার সঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু এরপর তিনি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন।
বাবুল আক্তার বলেন, ‘পুলিশ এত পরকীয়া করলে কাজ করে কখন? একজন পুলিশ অফিসারের সঙ্গে দেহরক্ষী থাকে, গাড়ি চালক থাকে। এসব করলে তো ডিপার্টমেন্টের কেউ না কেউ জানবে। আজ পর্যন্ত তো কেউ বললো না। এসব তো পুলিশ বিভাগে চাপা থাকে না। তিনি তার কোনও পয়েন্টেই স্থির থাকেননি। একেক সময় একেক কথা বলছেন।’
স্ত্রীর হত্যা মামলা নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তদন্ত একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমি যেহেতু পুলিশে ছিলাম। আমি বিষয়গুলো জানি। চার্জশিট হওয়ার পরও যদি কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া যায়। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে বেশি কথা বললে, তদন্তে ব্যঘাত ঘটে। এটা নিয়ে বেশি কথা বলা উচিত না।’

পুলিশের সঙ্গে সমঝোতা করে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন কিনা— শ্বশুরের এমন অভিযোগের বিষয়ে বাবুল আক্তার বলেন, ‘এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি যদি চাকরি ফেরত পাওয়ার জন্য মামলা করি, তাহলে কি শ্বশুরের সব ভুল ভেঙে যাবে? মামলার তদন্তে অগ্রগতি হবে?’
শ্বশুরের বক্তব্যের বিষয়ে বাবুল আক্তার বলেন, ‘তিনি যেসব অভিযোগ করেছেন, তা আই ডোন্ট কেয়ার। আমি কোনও কিছুতেই আতঙ্কিত না।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এই হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৮ জুন রাতে চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকা থেকে এহতেশামুল হক ভোলাকে ও মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে বিদেশি দু’টি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন