পুলিশের গাফিলতিতে নিরপরাধ ব্যক্তির কারাবাস

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

সাভারের আশুলিয়ায় মাদক মামলা ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রাতে থাকার পর সকালে গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয় তারা। এসময় নাম ও ঠিকানা যাছাই-বাছাইয়ের সময় অমিল থাকায় আদালতে পাঠানো হয়নি তাকে। পরে পুলিশ জানতে পারে ওয়ান্টেভুক্ত যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আসলে তিনি সেই ব্যক্তি নন।

পরে তাকে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আশুলিয়া থানায় এই ঘটনা ঘটে। এরআগে রাতে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিনা অপরাধে এক রাত হাজতে থাকা ভুক্তভোগী জামাল হোসেন বলেন, আশুলিয়ার বাইপাইল বাড়ি থেকে গতকাল বুধবার রাত ৮ টার দিকে আশুলিয়া থানার এ এস আই হারুন আমাকে ধরে নিয়ে আসে। বাড়ির নিচে এ এস আই মো. আনোয়ার হোসেনও ছিলেন। এসময় তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কোন মামলা কি কারণে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তারা তেমন কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, আমি বেশি কথা বললে এলাকায় অসম্মানিত হব। পরে জেনেছি মাদক মামলা। আমি তাদের বুঝানো চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারপরও তারা আমাকে হাজতে রাতভর আটকে রাখে।

তিনি আরো বলেন, ওয়ারেন্টের নামের সাথে আমার নামের মিল আছে। কিন্তু বাবার নামের মিল নেই। সকালে থানা থেকে আদালতে পাঠানো সময় ডিউটি অফিসার বিষয়টি যাছাই-বাছাই করে সত্যতা পায়। পরে আমাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু অপরাধী না হয়েও আমাকে রাতভর হাজতে থাকতে হলো। আসামি গ্রেপ্তার ও তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশকে আরো আন্তুরিক হওয়া প্রয়োজন। আমি তো সামাজিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। যদিও পুলিশ দু:খ প্রকাশ করেছে।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এ এস আই হারুন-অর রশিদ বলেন, বাবার নাম ঠিক ছিল না। তারা পরে কাগজপত্র নিয়ে আসছিল। জানতে পেরে তাকে ছেড়ে দিয়েছি। তাকে বলেছিলাম, কিন্তু তখন তেমন কিছু বলেননি।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এ এস আই আনোয়ার হোসেন বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের সময় যাছাই-বাছাই করা হয়। কিন্তু এটা ভুল হয়ে গেছে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটা মাদক মামলার ওয়েরেন্ট ছিল।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহিল কাফী বলেন, প্রকৃত আসামি না হয়েও রাতভর হাজতে কাটনোর বিষয়টি মোটেও ঠিক হয়নি। তদন্ত করে দেখব। যদি অন্যায় হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ