আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১০

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে হামলা, ভাংচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যমুনা সার কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর রাস্তার পাশে গুলির খোসা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার খুইটামারা বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ বাধে। এর জের ধরে দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সমর্থকরা যমুনা সার কারখানা এলাকায় জমায়েত হতে শুরু করেন। পরে আশরাফুল ইসলাম মানিকের লোকজন সার কারখানার পার্শ্ববর্তী চরপাড়া গ্রামের দিকে চলে যাচ্ছিলেন। এমন সময় পেছন থেকে ইট-পাটকেলসহ গুলি ছোঁড়েন রফিকুল ইসলাম ও তার লোকজন। পরে আশরাফুল ইসলাম মানিকের লোকজনও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন।

এ সময় ইট-পাটকেলের আঘাতে তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুস সাত্তার, কনস্টেবল মাজহারুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও উভয় পক্ষের হাফিজুর (৩৫), বাচ্চু (৩৬), মোতালেব (৪০), মোস্তাকসহ (৪২) অন্তত ১০ জন আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সেবা দেওযা হয়।

আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক জানান, তার লোকজন চরপাড়া গ্রামের দিকে আসছিলেন। এমন সময় রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই শফিকুল ইসলাম ৫ থেকে ৬ রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন। আর রফিকুলের লোকজন তার লোকজনকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে কয়েকজন আহত হয়।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আশরাফুল আলম মানিকের লোকজন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে জানালার কাঁচ ভেঙ্গে যায়। পরে তারা হামলা চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আড়াই লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেন। এরপর তার লোকজনও তাদেরকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ে মারেন। ‘ তারা গুলি ছোঁড়েননি বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে যমুনা সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘খুইটামারা বিলে মাছ ধরা নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। পরে তা সার কারখানা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ‘

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, ‘যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপক্ষের ছোঁড়া ইট পাটকেলের আঘাতে চার পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর গুলির শব্দ পাইনি। ‘

সূত্র: কালের কণ্ঠ