পুলিশের উপস্থিতিতে কুবি বাসে সন্ত্রাসী হামলা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের বাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি বাস ভাংচুরের শিকার হয়।

এতে আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। রোববার সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী হামলাকারীরা কুমিল্লা সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় অধিবাসী বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় পুলিশের সহযোগীতার অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাত ১০টার দিকে শিক্ষার্থীদের বিচারের দাবিতে উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান করতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের বহনকারী বাসগুলো নগরীর পুলিশ লাইন এলাকায় পৌছালে পুলিশ শিক্ষার্থীদের বহনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থামাতে চালককে নিদের্শ দেয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় পেছন থেকে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের বাসে হামলা চালায়। পরে বাস থেকে শিক্ষার্থীদের নামিয়ে রাস্তার এক পাশে জড়ো করে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

এ সময় শিক্ষকদের একটি বাসসহ মোট চারটি বাস ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা। পুলিশের উপস্থিতিতেই সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করে এবং পুলিশও মারধরে অংশ নেয় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় শিক্ষার্থীরা পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে তাদের তুলে এনে মারধর করা হয়। আহত শিক্ষার্থীদের রক্ষা না করে বরং শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মারধরের ঘটনায় আহত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘প্রতিবর্তন’র সভাপতি ওয়াসি মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘হঠাৎ বাস থামানো হয়। পুলিশ আমাদের মারতে থাকে। এক পর্যায়ে বায়জিদ ইসলাম গল্প, সজিব দাস বাঁধন ও আমি এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছে মারধরের ঘটনা জানতে চাই। তখন পুলিশ আমাদেরকে পুলিশ লাইনের ভিতরে নিয়ে মারধর করে।’

মারধরের সময় ঘটনাস্থলে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন বলে এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান। এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি বলেন, ‘একটা বাসই শুধু ভাংচুর করা হয়েছে। আর আমরা সহনীয়মাত্রায় কাজ করি। অনেক কিছুই হয়ত শোনা যাবে।’ তিনি ব্যস্ততার কথা বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি তবে তারা জানিয়েছে যে, তাদের কোন শিক্ষার্থী এ হামলায় জড়িত নয়।’

হামলায় পুলিশের অংশ গ্রহণের বিষয়ে কিছু জানেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নিবে।’