পুলিশের আবার কিসের ঈদ

শাহিনুল ইসলাম আশিক:
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। আর ঈদ মানে বছরে এক বা দুটি দিন একটু প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানো। সেটা মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান বা আত্মীয়-স্বজনও হতে পারে। আর ঈদের আনন্দ একটু ভাগাভাগি করে নিতে মানুষ নাড়ীর টানে অনেক দূরদুরান্ত থেকে বাড়ি ফিরছেন শত কষ্টের মধ্যেও। আবার এর সাথে রয়েছে জীবনের ঝুঁকিও।

ঈদের আনন্দে মাতোয়ারা সারাদেশ। পরিবার পরিজনের সঙ্গে উৎসব উদযাপনে ব্যস্ত সবাই। এরই মধ্যে সকলের ঈদ আয়োজন প্রায় শেষ। এখন ঈদের অপেক্ষা। আর নগরীর বিনোদন পার্কেগুলোতে মানুষের পদচারণায় মুখরিত হওয়ার অপেক্ষায়। নগরীর রাস্তাগুলো ফাঁকা হলেও দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। শুধু তাই নয় নগরবাসীসহ দেশের মানুষের নিরাপত্তায় ছুটির বদলে যেন দায়িত্ব বেড়েছে তাদের।

আর যখন শহরের মানুষ নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করে তখন নগরী প্রাায় ফাঁকা হয়ে যায়। তার পরেও যারা নগরীর তারা তো রয়েছে। তারাও কথাও না কথাও থেকে এসেছে ঈদ করতে।

আর তাদের দেখা শোনার ভাড় পুলিশ প্রশাসনের। আজ রোববার নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, মনিচত্বর, লক্ষ্মীপুর, ভদ্রা মোড় ও রেলগেট কামরুজ্জামান চত্বর এলাকায় দাঁড়িয়ে আছেন কয়েজন ট্রাফিক পুলিশ। নগরীরতে কেনাকাটা করতে আসা মানুষদের গাড়ির জট নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত তারা। কাজের কথা মাথায় রেখে যেনো ভুলতে বসেছে ঈদের কাথা। তাদেরও তো ঈদের আনন্দ আছে। বাড়িতে মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী- সন্তান রয়েছে। বাড়িতে ঈদ করার ইচ্ছে থাকলেও তা কাজের চাপে চাপা পরে গেছে।

পুলিশ কনস্টেবল ওহাব সিল্কসিটিনিউজকে জানায়, আমাদের আবার কিসের ঈদ। স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে দেশের বাড়ি বগুড়া তে গেছে। দেখো যাগ ছুটি তো পাইনি। এখন রাজশাহীতে নগরবাসীর সঙ্গেই ঈদ করতে হবে।  নগরীর আলুপট্টি এলাকায় কর্মরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আবু শহীদ সিল্কসিটিনিউজকে জানায়, ‘কিসের ঈদ পুলিশের?’ সবাই ঈদ করলে সাধারণ মানুষের দেখা-শোনাকে করবে?। আমাদের মানুষের সেবাই সব সময় নিয়জিত থাকতে হয়। মানুষের ঈদ নির্বিঘœ করাই আমাদের দায়িত্ব। আর দায়িত্বের মধ্যেই আমাদের আনন্দ।

তিনি আরো বলেন, আম্মা আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। বলেছে বাবা তোমার ছুটি হয়নি। তিনি মাকে বলেছে, না মা ছুটি পাইনি। পরে বোন ফোন দিয়েছেলো। তারো একই কথা। কি আর বলার, বল্লাম ছুটি পাইনি। এবার নগরবাসির নিরাপত্তার জন্য আমাদের ট্রাফিক বিভাগের মাত্র কয়েকজন ঈদের ছুটি পেয়েছে। তাছাড়া সবই তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছে। ঈদে নগরীবাসিকে রাস্তা থেকে বাড়ি পর্যন্ত ভালো ভাবে চলা ফেরা করানো জন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। রাস্তায় কোন ধরনে দূভোগ যেন না পোহাতে হয় সে জন্য আমাদের জনবল মাঠে কাজ করছে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও ট্রাফিকের সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলাম সিল্কসিটিনিউজকে জানান, সবাই ঈদ করতে গেলে নিরাপত্তার দেখভাল করবে কে?। ঈদকে সামনে রেখে রাজশাহী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় ততপর রয়েছে। নগরীরতে ঈদকে কেন্দ্র করে ঈদরে নামাজ ও বিনোদন স্পটগুলোতে বাড়ানো হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

তিনি আরো বলেন, তিনি আরো বলেন, নগরবাসির নিরাপত্তার জন্য নগরীর চারটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশী চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশগুলো নিরাপত্তার সার্থে মোটরসাইকেল, মাইক্রো, কার, ইত্যাদি যানবাহন গুলোকে চেক করবে। ঈদের আগে ও পরে নগরীর নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশের টহল অব্যাহত থাকবে। এছাড়ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিন মাঠে থাকবে।

 

 

স/আ