পুঠিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় রেল কর্মকর্তা নিহত

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর পুঠিয়ায় অজ্ঞাত গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে রেলওয়ের ২য় শ্রেনীর এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী আরো একজন গুরুতর আহত হয়েছে। আজ রোববার দুপুর দুইটা থেকে আড়াইটার দিকে উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের পোল্লাপুকুর নামক এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রেলওয়ে কর্মকর্তার নাম আবু সালেক (২৬) তিনি বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌর এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং রাজশাহী রেলওয়ের সহকারী লোক মাস্টার পদে কর্মরত ছিলেন। আহত অপরজনের নাম দিপু (২৭) তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার বাসিন্দা ফেরদৌস আলীর ছেলে। তারা দুজনই মোটরসাইকেল আরোহী এমনকি কলেজ পড়ুয়া অবস্থায় তারা একই রুমে থেকে পরাশোনা করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পবা হাইওয়ে পুলিশের পুঠিয়ায় অবস্থিত ফাঁড়ির ইনচার্জ কাজল কুমার নন্দী।

হাইওয়ে পুলিশ জানান, রবিবার দুপুর দুইটা থেকে আড়াই টার দিকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক হয়ে সালেক ও দিপু মোটরসাইকেল যোগে (রাজশাহী-ল ১১-৮৭৬৭) রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে বানেশ্বর পোল্লাপুকুর নামক স্থানে বিপরিতগামি অজ্ঞাত গাড়ির সাথে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেলের দু’জনই আহত হন। তাদের মধ্যে সালেককে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বানেশ্বর বাজারে অবস্থিত পল্লী চিকিৎসক স্বপন কুমার দাসের কাছে নিয়ে গেলে তিনি সালেককে মৃত ঘোষনা করেন এবং আহত দিপুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।

এসআই কাজল কুমার নন্দী জানান, সালেক রাজশাহী রেলওয়েতে ২য় শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং দিপু তার কলেজ জীবনের রুম মেট বলে জানা গেছে। তারা মোটরসাইকেল নিয়ে রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেলেও ঠিক কি গাড়ির সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে সে বিষয়টি এখনও  নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে নাটোর গামী কোন অজ্ঞাত ট্রাকের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে।

তিনি আরো জানান, মরদেহ ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে এবং তাদের পরিবারের কাছেও খবর দেয়া হয়েছে। এব্যপারে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়নি। মামলা হলে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হবে। অপরদিকে আহত দিপু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সে বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত বলেও জানান তিনি।

স/স্ব