পুঠিয়ায় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নির্যাতন, স্বামীকে আটকের পর মীমাংশার চাপ

পুঠিয়া প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় যৌতুকের দাবীতে এক গৃহবধূকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতনের পর স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগে ওই স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে স্বামীকে আটকের পর বিষয়টি মীমাংসা করতে বিভিন্ন মহল থেকে জোর তদবীর চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের ধোকড়াকুল এলাকার শামসুল হকে বাসায়। নির্যাতনকারী স্বামী হলেন, একই ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের মুজাম আলীর ছেলে জসিম উদ্দিন (৩২) এবং নির্যাতনের স্বীকার ওই নারী হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার আজমদি গ্রামের মনজিল মিয়ার মেয়ে লিমা আক্তার (২০)।
 ওই গৃহবধু নিজেই বাদী হয়ে স্বামী জসিম উদ্দীন ও স্বশুরকে দায়ী করে পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত প্রায় দুই থেকে তিন বছর পূর্বে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জেলার পুঠিয়া উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মজাম আলীর ছেলে জসিমের সঙ্গে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার মনজিল মিয়ার মেয়ে লিমা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সুত্র ধরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় দু’জনের প্রথম দেখা হয়। সেদিনই জসিম বিয়ের কথা বলে লিমাকে পুঠিয়ায় নিয়ে এসে তার একদিন পর ১৫ ফেব্রুয়ারী একই ইউপির ধোকড়াকুল এলাকার শামসুল হকের ভাড়া বাড়িতে উঠে লিমাকে বিয়ে করে।
লিমা আক্তার অভিযোগে উল্লেখ্য করেন, বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই জসিম উদ্দিন তার বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়ে আসার জন্য চাপ দেয়। গত ২৪ এপ্রিল ফের টাকার জন্য চাপ দিলেও লিমা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে। পরে নিরুপায় হয়ে আজ শনিবার সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এদিকে জসিমের আটকের পর থেকে বিভিন্ন মহল থেকে থানায় বসে বিষয়টি মীমাংশার জন্য লিমা খাতুনকে চাপ প্রয়োগ করছে।
এব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল উদ্দিন আহম্মেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। আটকের পর উভয় পক্ষই বিষয়টি মীমাংসার জন্য চেষ্টা করছে।
 স/শা