পুঠিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত মুসার বিরুদ্ধে তদন্তে ট্রাইবুনাল দল

মইদুল ইসলাম মধু:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় মনবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আবদুস সালাম ওরুফে মুসা রাজাকারের বিরুদ্ধে ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে উপজেলার ৭ টি গ্রামে ধর্ষণ, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের কয়েকটি অভিযোগের তৃতীয় দফা তদন্ত করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল।

গত ৩ অক্টোবর থেকে ৪ অক্টোবর বুধবার পর্যন্ত দু’দিন তদন্ত করেছে ৪ সদস্যের তদন্ত দল। আবদুস সালাম ওরুফে মুসা রাজাকারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময় উপজেলার ৭ টি গ্রামে ধর্ষণ, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটসহ কয়েকটি অভিযোগ এনে প্রায় দু’বছর আগে উপজেলার ভলুকগাছী ইউনিয়নে পশ্চিমভাগ গ্রামের শহীদ আবদুস সামাদের স্ত্রী রাফিয়া বেগম মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইবুনালের তদন্তকারী দল এর আগে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দু’দফা তদন্ত করেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ৯ জানুয়ারী ২য় দফা তদন্ত শেষ করেছেন।

এদিকে গত বছরের ৬ নভেম্বর উপজেলার তাড়াঁশ গ্রামে বোমা তৈরির সময় বোমার বিস্ফোরনের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারী নাশকতার মামলায় আবদুস সালাম ওরুফে মুসা রাজাকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফারুক হোসেনকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত দলে আরো রয়েছেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিএম নাজমুল হুদা, কন্সটেবল কবির ভট্রাচার্য ও ড্রাইভার হাবিবুর রহমান।

২য় দিন দুপুর তিনটায় গোটিয়া গ্রামে তদন্ত শেষে মুঠোফোনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বরাত দিয়ে তদন্ত দলের সদস্য এসআই নাজমুল হুদা সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের নির্দেশে তৃতীয় দফা তদন্তে আসা হয়েছে। প্রথমদিন মঙ্গলবার উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের ধোকড়াকুল গ্রামে তদন্ত করে স্বাক্ষীদের সাক্ষ গ্রহন করা হয়েছে এবং বুধবার ২য় দিন উপজেলার একই ইউনিয়নের গোটিয়া গ্রামে তদন্ত করে সাক্ষগ্রহন শেষে তদন্ত দল রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

তিনি জানান, রাজশাহী সার্কিট হাউজে কয়েকজনের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবে তদন্ত দল।

এসআই নাজমুল হুদা আরো জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আবদুস সালাম ওরুফে মুসার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের মধ্যে শুধু ‘ধর্ষণ’ বাদে সবগুলো অপরাধ প্রমানিত হয়েছে।
স/শ