পুঠিয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এক প্রবাস ফেরত যুবকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ভিকটিম।

এদিকে মেয়েটিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ওই মেয়েটি বিয়ের দাবীতে যুবকের বাড়িতে অনশন করে। এতে ছেলেটির পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটিকে মারধর করে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির বাইড়ে ফেলে দেয়।

 

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড টুলটুলি পাড়ায়। অভিযুক্ত যুবকটি হলেন, ওই গ্রামের আলতাফ হোসেনের দুবাই ফেরত ছেলে আসাদুল ইসলাম (২৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা ১০ টায় টুলটুলি পাড়া গ্রামের জৈনক ব্যাক্তির সপ্তম শ্রেণিতে (১৪) পড়ুয়া স্কুলছাত্রী একই গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে ৬ মাস হলো দুবাই ফেরত আসাদুল ইসলামের সাথে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে গিয়ে অনশন করে।

এতে আসাদুলের পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটিকে মারধর করে টেনে হিচড়ে বাড়ির বাইরে ফেলে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। পরে গেটের সামনেই মেয়েটি অবস্থান করে। মেয়েকে মারধর করে বাড়ির বাইরে ফেলে রাখার খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা থানা পুলিশে খবর দিলে শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুঠিয়া থানায় নিয়ে আসে।

নির্যাতিত স্কুল ছাত্রীর বাবা জানান, প্রায় ৬ মাস আগে আসাদুল ইসলাম দুবাই থেকে দেশে ফিরে পিয়ারা ও মুরগীর ব্যবসা শুরু করে এর মধ্যে সে মাঝে মাঝে আমার বাড়িতেও আসা যাওয়া করতো।

নির্যাতিত মেয়েটির বরাত দিয়ে তার বাবা জানান, গত তিন মাস আগে আমাদের অজান্তেই আসাদুল ইসলাম আমার সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া নাবালিকা মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধীকবার সে মেয়েকে ধর্ষণও করেছে। গত চার দিন আগে বিষয়টি জানা জানি হলে সে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে রাজিও হয়। তবে বিয়েতে ১ টি মোটরসাইকেলের দাবী করে আসাদুল। পরে আমি মোটরসাইকেল দিতে রাজি হই এরপরেই বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে সময়ক্ষেপণ করে হটাৎ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, আসাদুলের পালানোর সংবাদ শুনে আমার মেয়ে আজ সকালে তার বাড়িতে গিয়ে ওঠে। পরে আসাদুলের মা সেফালি বেগম, ফুপু মুছলা বেগম ও তার ভাবী আমার মেয়েকে মারধর করে টানতে টানতে বাড়ির ভেতর থেকে বাইরে ফেলে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে আমি থানা পুলিশে খবর দিয়ে আসাদুলের বাড়ির গেট থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি, বলছিলেন নির্যাতিত মেয়েটির বাবা।

মেয়েটির বাবা পেশায় একজন ভ্যান চালক। বাড়ির ভিটে ছাড়া কোন জমিজমা নেই। তিনি তার নাবালিকা মেয়ের ওপর নির্যাতনের বিচার দাবী করেন।

তবে এব্যপারে জানতে অভিযুক্ত যুবক আসাদুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করলে সে ফোনটি রিসিভ করেনি।

এব্যাপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভূইয়া জানান, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এব্যপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ছেলে ও তার পরিবারের লোকজন বর্তমানে পলাতক রয়েছে। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।

স/আর