পুঠিয়ায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে জাতীয় ফুল শাপলা

মইদুল ইসলাম মধু:
রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলা থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে জাতীয় ফুল শাপলা। জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ, অতিরিক্ত খরার কারনে খাল বিল জলাশয় শুকিয়ে যাওয়া, এবং ফসলি জমিতে পুকুর খনন করার ফলে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে জাতীয় ফুল শাপলা।

 

পুঠিয়া উপজেলার ধনঞ্জয়পাড়া গ্রামের প্রবীণ ব্যাক্তিরা বলেন, আগে খাল, বিল, পুকুর, ডোবা যেখানেই পানি থাকতো সেখানেই লাল, নীল, সাদা রঙ্গের শাপলা ফুটে থাকতো। গ্রামের ভাষায় শাপলা ফুল থেকে ভ্যাট তৈরি হয় এবং সেই ভ্যাট দিয়ে মুড়ি তৈরি করতেন গ্রামের গৃহবধুরা। এছাড়াও শাপলার লতা রান্না করে খাওয়া যায় এবং বিভিন্ন ঔষধি কাজেও ব্যবহার হয় জাতীয় ফুল শাপলা।

 

গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, ফসলি জমি দখল করে মাছ চাষ করা তাতে অতিরিক্ত সার কীটনাশক প্রয়োগ করা এবং শাপলার ফুলের গাছ জন্মালে তা পরিস্কার করার ফলে হারিয়ে যাচ্ছে শাপলা।

 
অনুসন্ধানে জানাগেছে, উপজেলার বিভিন্ন খাল বিলে বর্ষা মৌসুমে লাল, নীল, ও সাদা শাপলায় পরিপুর্ণ থাকতো যা এখন আর চোখে পরেনা। মাঝে মাঝে কিছু ফসলি বিলে শাপলা দেখা গেলেও এখন সে সমস্ত ফসলি জমির বিল দখল করে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করার ফলে আগাছা মুক্ত রাখছেন মাছ চাষিরা।

 
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুঠিয়া উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা শামসুন নাহার ভূইয়া সিল্কসিটি নিউজকে জানান, আগের মত এখন কোথাও পরিত্যাক্ত জমি পরে না থাকায় এবং ভালো ফলন পাওয়ার জন্য চাষিরা নিয়মিত আগাছা পরিস্কার করায় এবং অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করায় হারিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ফুল শাপলা।

 

তার পরেও কিছু কিছু ফসলি জমিতে শাপলা দেখা যেত কিন্তু সে সমস্ত ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। পুকুরে প্রয়োগ করা হচ্ছে অতিরিক্ত সার এবং পুকুরে ছায়া যাতে না পরে সেজন্য আগাছা মুক্ত রাখায় শাপলা এখন আর চোখে পরে না। সরকারী ভাবেও শাপলা সংরক্ষণে কোন উদ্দ্যোগ নেই বলেও জানান তিনি।
স/শ