পুঠিয়ায় বাসের সংঘর্ষে নিহত নারীর পরিচয় মেলেনি, আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামেকে আহতরা

পুঠিয়া প্রতিনিধি:

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের ভাংড়া নামক স্থানে দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনায় নিহত অজ্ঞাত নারীর (৩৫) পরিচয় মেলেনি। এদিকে এঘটনায় গুরুতর আহত ৮ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন।

গুরুতর আহতরা হলেন, পাবনার বেড়া এলাকার জুয়েল রানা(৩৫), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে কর্মরত, আঃ মুতালেব হোসেন (৪০), সেফালী বেগম(৫০), নাটোর সিংড়া এলাকার জাহিদুলের স্ত্রী জহুরা পারভী(৩৫), ঐ এলাকার সায়েমের স্ত্রী বেলী (৪৫), রাজশাহীর শ্যামপুর এলাকার মোজ্জামেলের ছেলে হান্নান (৪০) এছাড়াও গুরুতর আহত জে-কে স্পেশাল বাসের চালক ও এক শিশুর পরিচয় মেলেনি।

এঘটনায় উভয় বাসের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। বাঁকীরা পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

জানা যায়, রোববার দুপুর আড়াই টার দিকে উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের ভাংড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দূর্ঘটনায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে প্রায় ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইয়া ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী।

থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া পাবনা গামী যাত্রীবাহী বাস সাব্বির ট্রাভেলস (পাবনা ব-১১-০১১৫) ও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাস জে,কে স্পেশাল (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৮১৯৭) নামক যাত্রীবাহী বাস উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ভাংড়া এলাকায় এলে তাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ৩৫ বছর বয়সি এক অজ্ঞাত মহিলা নিহত হয় এবং উভয় বাসের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় ৮ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বাঁকীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর পুঠিয়া থানা ও হাইওয়ে পুলিশ এবং পুঠিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে দূর্ঘটনাস্থলে এসে বাস দুটি উদ্ধার করলে প্রায় ১ ঘন্টা পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান জানান, নিহত অজ্ঞাত নারীর পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে। এছাড়াও রামেক হাসপাতালে গুরুতর আহতদের চিকিৎসা চলছে এদের মধ্যে জে-কে স্পেশাল বাসের চালক ও একটি শিশু অবস্থা আশঙ্কাজনক তবে তাদেরও পরিচয় মেলেনি তাদের পরিচয় সনাক্তেরও চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।

স/অ